একটি ভুলই হয়ে গেল কাল! যাত্রীকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিল রেল, পেতে পারেন আপনিও

ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ইতিহাসে এক অভিনব ঘটনা ঘটেছে, যা শুনলে হয়তো আপনিও নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। যাত্রীদের সুযোগ, স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছে। ভারতীয় রেল তার যাত্রীদের নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার সম্পূর্ণ যত্ন নেয়। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। অনেকেই আছেন যারা বাস, বিমানে যাওয়ার থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কারণ ট্রেনে ভ্রমণ করা যেমন সস্তার ঠিক তেমনই আরামদায়ক।

   

তবে ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যেটি সম্পর্কে শুনে সকলের চোখ একপ্রকার ঠিকরে বেরিয়ে আসবে। দেরিতে ট্রেন চালানোর জন্য এক যাত্রীকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কেরালার একটি আদালত। এর্নাকুলাম জেলা ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন চেন্নাই-আলাপ্পুঝা এক্সপ্রেসের ১৩ ঘন্টা দেরীর কারণে এক যাত্রীকে ৬০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগকারী কার্তিক মোহন চেন্নাইয়ের একটি বহুজাতিক সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজার। ২০১৮ সালের ৬ মে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য তিনি এর্নাকুলাম থেকে চেন্নাই যাওয়ার টিকিট বুক করেছিলেন। তবে ট্রেন নম্বর ২২৬৪০ আলিপ্পি এক্সপ্রেস ১৩ ঘণ্টারও বেশি দেরিতে চলছিল। শুধু তিনিই নন, এনইইটি পরীক্ষার বহু পরীক্ষার্থী এবং তাদের বাবা-মা সহ আরও অনেক যাত্রীও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

কার্তিক নামে এক ব্যক্তি ২০১৮ সালের ৬ মে আলেপ্পি এক্সপ্রেসে চেন্নাই যাওয়ার টিকিট বুক করেছিলেন। কার্তিককে তার কোম্পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশ নিতে হয়েছিল। তিনি নির্ধারিত সময়ে রেলস্টেশনে পৌঁছান। কিন্তু ট্রেন সময়মতো পৌঁছায়নি। আলেপ্পি এক্সপ্রেস ১৩ ঘন্টা দেরিতে এসেছিল। ট্রেনের বিলম্বের কারণে কার্তিক কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। এটি তার কেরিয়ারে বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল। এরপরেই কার্তিক রেলওয়ের কাছ থেকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এর্নাকুলাম জেলা ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন এবং রেলওয়ের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন।

train

যদিও রেলের দাবি, সমস্ত সংরক্ষিত যাত্রীদের দেরী সম্পর্কে অবহিত করে এবং বিকল্প পরিবহণের  পরামর্শ দিয়ে এসএমএস পাঠানো হয়েছিল। যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে টিকিট কেনার সময় অভিযোগকারী ভ্রমণের উদ্দেশ্য প্রকাশ করেননি। শুধু তাই নয়, রেলকর্মীদের পক্ষ থেকে পরিষেবায় কোনও অবহেলা বা ঘাটতি ছিল না। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিযোগটি মিথ্যা, তুচ্ছ এবং বিরক্তিকর। তবে কমিশন রেলওয়ের পক্ষ থেকে পরিষেবায় গুরুতর ঘাটতি খুঁজে পেয়েছে। দেখা গেছে, রেলওয়ের গাফিলতির কারণে অভিযোগকারীকে অনেক অসুবিধা এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।