কঠোর হচ্ছে রেল! এবার ট্রেনে মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে যাওয়া নিয়ে নতুন নিয়ম, না জানলেই বিপদ

ভারতীয় রেল (Indian Railways) ব্যবস্থা হল দেশের মেরুদন্ড। এই ভারতীয় রেলকে ভারতের (India) লাইফ লাইন বলা হয়ে থাকে। কারণ প্রত্যেকদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রেলের মাধ্যমে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ান। মানুষ একপ্রকার এই রেল ছাড়া অচল। আপনিও কি রেলে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন? আপনিও কি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য রেলকেই পছন্দ করে থাকেন? তাহলে আপনার জন্য রইল একটি জরুরী খবর। অনেকেই আছেন যারা ট্রেনে ফোন, ল্যাপটপ নিয়ে ওঠেন। তবে আপনিও যদি আগামী দিনে ট্রেনে ল্যাপটপ নিয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য রইল জরুরি খবর।

   

ভারতীয় রেল তার পার্সেল পরিষেবার মাধ্যমে লিথিয়াম এবং লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি চলাচলের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। লিথিয়াম ব্যাটারি বা চালিত সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য রেলওয়ে ৪৮ ঘণ্টার আগাম নোটিশ নির্ধারণ করেছে। এই পদক্ষেপটি ইলেকট্রনিক আইটেম, ল্যাপটপ এবং মোবাইলগুলির চলাচলকে প্রভাবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, রেলের আধিকারিকরা চালানগুলি পুরোপুরি চেক করবেন এবং প্যাকিং উপযুক্ত কিনা তা পরীক্ষা করবেন। কর্মকর্তারা পণ্যগুলির ভুল শ্রেণিবিন্যাস রোধে পদক্ষেপ নেবেন। পার্সেলগুলিতে আগুন লাগার ঘটনার খবর পাওয়ার পরে ভারতীয় রেল পার্সেল পরিষেবার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে।

বিষয়টি সম্পর্কে আরেক কর্মকর্তা বলেন, পার্সেলগুলোতে আগুন লাগার ঘটনার পর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রেলওয়ে রেড ট্যারিফ রুলস, ২০০০ সংশোধনের পরে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে লিথিয়াম, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি পার্সেল করার অনুমতি দিয়েছিল রেলওয়ে। এই সংশোধনীতে রেলওয়ে পার্সেল পরিষেবার মাধ্যমে মোবাইল, ল্যাপটপ, ছোট বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এই সংশোধনীর ফলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, লাইটার, ল্যাপটপ, ফোন , পারফিউমরি পণ্য সহ পণ্যগুলি রেলওয়ের পার্সেল পরিষেবার মাধ্যমে বহন করা যেত।

kalka mail rail

একটি রিপোর্ট অনুসারে, এই ব্যাটারি বা চালিত সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য এখন ৪৮ ঘন্টা আগে আবেদন করা বাধ্যতামূলক। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, রেলওয়ে কর্মকর্তারা ট্রেনে পরিবহনের আগে উপযুক্ত প্যাকেজিং নিশ্চিত করার জন্য চালানটি পরিদর্শন করবেন। তারপরেই সেটি ট্রেনে তোলার যোগ্য বলে মনে করা হবে। মূলত পূর্বে ট্রেনে আগুনের ঘটনার শিক্ষা নিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।