ডলারের মোকাবিলা করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ RBI-র, ভারতের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত আমেরিকার

ভারতের (India) সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে ডলারের (Dollar) দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। দিন দিন যেভাবে ডলার শক্তিশালি হয়ে চলেছে তাতে রুদ্ধশ্বাস অবস্থা ভারত সহ সারা বিশ্বেরই। ভারতীয় মুদ্রার মূল্য চিরকালের সর্বনিম্ন হয়ে ৮০ টাকাতে দাঁড়িয়ে। আর তার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। এদিকে রুপি লো হিট করাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতের বাণিজ্যিক সেক্টরও।
ডলারের দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশী চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তেলের দাম। আসলে সরকার বাজেট বানানোর সময়ই সর্বোচ্চ দাম ধরে নিয়ে সেইমত খরচ হিসেব করে। এদিকে এই বছর তেল এমন উর্দ্ধগতি নিয়েছে যে সেই হিসেব ভেঙে গিয়েছে বহুদিন আগেই। তাছাড়াও বাকি সমস্ত ক্ষেত্রে ইমপোর্ট এক্সপোর্ট এও প্রভাব পড়ে।
ভারত আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মে মাসে ১২১ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট করলেও ইমপোর্ট এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯০ বিলিয়ন ডলার। এক্সপোর্ট ৪৩.৬১ শতাংশ বাড়লেও এখনো অনেকটাই যাওয়া বাকি। ৭৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে ভারতের। ভারতের ডলার রিজার্ভ যদিও এখনো অনেকটাই বেশি তাই একটু স্বস্তি রয়েছে। ৫৬৪.৫ বিলিয়ন ডলার রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের সংকটময় অবস্থাতে রুপির যাতে আরও খারাপ অবস্থা না হয় সেইজন্য রিজার্ভ ব্যাংক নিয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
RBI এবার এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেখানে রূপির মানও কমবে না, আবার বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও ঠিক থাকবে। আসলে দুই দেশ যখন বাণিজ্য করে তখন তাদের ডলারের বিনিময়ে লেনদেন করতে হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের নিজেদের মুদ্রার অবস্থা হয় আরো খারাপ। এই পরিস্থিতি এড়াতে রিজার্ভ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডলারের জায়গায় এবার রুপিতে ব্যবসা করবে।
RBI-র এই সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকার প্রতিবন্ধকতাও আর কাজ করবে না। ফলে রাশিয়ার মত দেশগুলোর সাথে ব্যবসা করা আরো সহজ হয়ে যাবে। ডলারের কমতি অনুভব করা রাশিয়া এবং ভারত অবাধে বাণিজ্য করতে পারবে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন হয়েছে ইউনাইটেড আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, এশিয়া, শ্রীলংকা। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের টাকা যেমন শক্তিশালি হবে, তেমনই বাকি দেশগুলির আর্থিক অবস্থাও আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হতে পারে।