বিশ্বকাপ ২০২৩-এর (Cricket World Cup) ১৭তম ম্যাচে ৫১ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশকে (Bangladesh) ৭ উইকেটে হারিয়েছে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল (India national cricket team)। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টের চার ম্যাচের চারটিতেই জয় অর্জন করেছে টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সেঞ্চুরি এই ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কোহলি ৯৭ বলে ৬ টি চার ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে অপরাজিত ১০৩ রান করে জিতিয়েছেন দলকে।
পুনের এমসিএ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪১.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য পূরণ করে ভারতীয় দল। বিরাট কোহলি ছাড়াও এদিনের ম্যাচের জয়ের নেপথ্যে রয়েছেন আরও চার ভারতীয় ক্রিকেটার।
১) বিরাট কোহলি – ম্যাচ সেরা বিরাট কোহলি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম সেঞ্চুরি করেন। ভারতের এই তারকা ব্যাটসম্যান ৯৭ বলে ৬ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে অপরাজিত ১০৩ রান করেন। বিশ্বকাপে রান তাড়া করতে গিয়ে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি করলেন কোহলি। বিশ্বকাপে এটি কোহলির তৃতীয় সেঞ্চুরি।
২) জসপ্রীত বুমরাহ- ভারতীয় দলের জয়ের দ্বিতীয় নায়ক হয়তো জসপ্রীত বুমরাহ। নিজের সুনির্দিষ্ট লাইন ও লেন্থ দিয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট বিপাকে ফেলেছিলেন। বুমরাহ ১০ ওভারে একটি মেডেন সহ ৪১ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন দুটি উইকেট। মুশফিকুর রহিম (৩৮) ও মাহমুদউল্লাহ (৪৬)-এর গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি।
৩) রবীন্দ্র জাদেজা- জসপ্রীত বুমরাহর পাশাপাশি রবীন্দ্র জাদেজার বোলিং স্পেলও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১০ ওভারে মাত্র ৩৮ রান খরচ করে দুটি উইকেট নেন তিনি। লিটন দাস (৬৬) ও নাজমুল হোসেন শান্তকে (৮) প্যাভিলিয়নে ফেরান ভারতের এই বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশকে বড় স্কোর করা থেকে দূরে রাখতে জাদ্দু ও বুমরাহর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বলের পাশাপাশি জাদেজার অসাধারণ ক্যাচ মনে রাখার মতো।
৪) শুভমান গিল- ভারতীয় দলের তরুণ ওপেনার শুভমান গিল আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে সফল, হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। গিল ৫৫ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করেন। গিলের ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশের বোলাররা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলেন। গিল অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে ৮৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের জন্য প্রয়োজনীয় জয়ের ভিত মজবুত করেন।
৫) রোহিত শর্মা – ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ম্যাচের পঞ্চম নায়ক। মাত্র ৪০ বলে সাতটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ রান করেন ভারত অধিনায়ক। হিটম্যান হয়তো হাফ সেঞ্চুরি মিস করেছেন, কিন্তু তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বানচাল করে দিয়েছিল বাংলাদেশী বোলারদের সমস্ত পরিকল্পনা।