চাঁদ, সূর্যের পর এবার ভারতের (India) নজরে অতল সমুদ্র। ইতিমধ্যে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে ভারত। অন্যদিকে সূর্যের রহস্য ভেদের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ISRO-র তৈরি Aditya-L1। এরই মাঝে এবার অতল সমুদ্রের রহস্য ভেদ করতে পাঠানো হবে সমুদ্রযান (Deep Ocean mission)। ভারত খুব তাড়াতাড়ি তার সমুদ্র মিশনের ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে। সমুদ্রযান একটি সম্পূর্ণ দেশীয় মিশন হতে চলেছে। মৎস্য ৬০০০ (Matsya 6000) একটি সাবমার্সিবল, যা টাইটানিয়াম মিশ্রণ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি ছয় হাজার মিটার গভীরতায় সমুদ্রপৃষ্ঠের ছ’শো গুণ চাপ সহ্য করতে সক্ষম। এই ডুবোজাহাজের ব্যাস ২.১ মিটার। এই জল যানের মাধ্যমে তিন জনকে ১২ ঘণ্টার জন্য ৬ হাজার মিটার গভীর সমুদ্রে পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এতে রয়েছে ৯৬ ঘণ্টার জন্য জরুরি সমস্ত ব্যবস্থাপনা। আশা করা হচ্ছে যে ২০২৬ সালে এই মিশন চালু করতে পারবে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স এবং চীনের পরে ভারত ষষ্ঠ দেশ হিসেবে মনুষ্যবাহী সাবমার্সিবল তৈরি করার কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে।
মিশন সমুদ্রযানে একটি দেশীয় ডুবোজাহাজে ৬ হাজার কিলোমিটার গভীরে তিনজনকে পাঠানো হবে। যাতে সেখানকার প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য অধ্যয়ন করা যায়। এই জাহাজটির নাম মৎস্য ৬০০০। এর মাধ্যমে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার নিচে কোবাল্ট, নিকেল ও ম্যাঙ্গানিজ জাতীয় মূল্যবান ধাতু আবিষ্কার করার কাজ আরও সহজ হবে।
প্রায় দুই বছরের প্রয়াসে মৎস্য ৬০০০ তৈরি করা হয়েছে। এটি ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে পরীক্ষার জন্য চেন্নাই উপকূল থেকে বঙ্গোপসাগরে ছেড়ে দেওয়া হবে। সমুদ্রের ৬ হাজার কিলোমিটার গভীরে যাওয়া মুখের কথা নয়। ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও এই বছরের জুন মাসে সংঘটিত টাইটান দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবগত। সমুদ্রে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে পর্যটকদের বহনকারী ডুবোজাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বারবার মৎস্য ৬০০০-এর নকশা পরীক্ষা করে দেখছেন।