মাসে আয় লাখ লাখ টাকা! ২১ বছর হলেই কেল্লাফতে, পশ্চিমবঙ্গে এভাবে পাবেন মদ বিক্রির লাইসেন্স

মদ বিক্রী করতে যে লাইসেন্সের দরকার পড়ে সেবিষয়ে নিশ্চয়ই জানেন আপনি। কিন্তু ঠিক জানেন কি কীভাবে কি করতে হয় এই লাইসেন্সের জন্য? সমস্ত তথ্যই বিশদে জানাচ্ছি আমরা। প্রথমেই বলে দিই যে, গত ২০১২ সালে আইন প্রণয়ন করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লাইসেন্স ছাড়া কোনোভাবেই মদ বিক্রি করা যাবেনা বলে।
কীভাবে আবেদন করবেন : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাগারি দফতরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গেলে সেখানেই নতুন লাইসেন্সের আবেদনের অপশন পাবেন। এবার সেখানে সমস্ত তথ্য ও নথি জমা দিয়ে আবেদনের কাজ শেষ করলেই হবে।
এখন আপনিও যদি লাইসেন্স নেওয়ার কথা ভাবছেন তাহলে কী যোগ্যতা লাগবে সেটাও ভাবছেন নিশ্চয়ই। আপনাদের বলে দিই যে, আবেদন করার জন্য বয়স অন্তত ২১ বছর হতেই হবে। এছাড়া সেই ব্যক্তিকে ভারতের নাগরিক হওয়া অত্যাবশ্যক। নীচে কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য জানানো হলো এই লাইসেন্স নিয়ে।
১) আপনি টেম্পোরারি লাইসেন্স নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে ৬ মাস পর্যন্ত মদ বিক্রি করতে পারবেন আপনি।
২) রেস্টুরেন্ট এবং বারে মদ বিক্রি ও বসে পান করার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়।
৩) হোটেল বা রেস্টুরেন্টে বিদেশি মদ বিক্রির জন্যও লাইসেন্স দেওয়া হয়ে।
লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে: স্থানের উপর নির্ভর করে রেস্টুরেন্ট বা বারের লাইসেন্স ফি বাড়াকমা হয়। মদ বিক্রি করতে ন্যূনতম ৮,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা ফি দিতে হয়। সেইসাথে মাসিক ৫,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা দিতে হয়। প্রাথমিক গ্রান্ট হিসেবে ৩-৬ লক্ষ টাকা ফি হিসেবে দিতে হয়। একইসাথে আপনাকে নিরাপত্তার জন্য ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা জমা দিতে হয়।
সাথে এও জানিয়ে দিই যে, লাইসেন্সের আবেদন করার জন্যও ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকার আবেদন ফি দিতে হয়। লাইসেন্সের মতো এই আবেদন ফিও নির্ভর করে আপনার দোকান বা বার যেখানে অবস্থান করছে তার ওপর। এবিষয়ে জেনে রাখা ভালো যে, পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে খরচ সবচেয়ে কম আর মিউনসিপ্যালিটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি।