বাজারে ইলিশ (Ilish) কই? থলি হাতে মাছপ্রেমী বাঙালিরা বাজারে ছুটলে এখন সকলের এই একটাই প্রশ্ন। যাও বা যে মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে সেগুলি কিনতে গেলে একপ্রকার মাথা ঘুরে যাচ্ছে বাঙালিদের। এপার বাংলা হোক বা ওপার বাংলা…দুই জায়গাতেই কমে গিয়েছে রুপোলি শস্যের জোগান।
এদিকে বাজারগুলিতে আকাশছোঁয়া দামে ইলিশের বিক্রি হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন মানুষ। মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মৎস্যজীবী, সকলের গলাতে একই সুর, ‘মাছের জোগান না থাকলে কোথা থেকে আনব।‘ সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার আগে মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, মৌসুমী বায়ু মোটেই অনুকূল নয়। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর (Bay Of Bengal) রীতিমতো উত্তাল হয়ে রয়েছে। এদিকে সমুদ্র উত্তাল হলে নৌকা নিয়ে যাওয়া মানে যেচে বিপদ ডেকে আনা। ফলে সাধারণ মৎস্যজীবীরা গত দুইদিন আগেই ট্রলার নিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিখ্যাত মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুর অড়ৎ ঘটে নোঙর করেছে।
শুধু তাই নয়, অনেক মৎস্যজীবীরা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন নদ নদীতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। যাওয়া হচ্ছে না সমুদ্রে। আর এর বড় রকমের প্রভাব পড়েছে ইলিশ মাছের সরবাহের ওপর। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। ৯০০, ১০০০ টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকায়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের বাজারগুলিতে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ টাকা, ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ কিনতে গিয়ে একপ্রকার মাথায় হাত পড়েছে ইলিশ প্রেমীদের। এক মৎস্যজীবী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানাচ্ছেন, ‘সাগর খুবই উত্তাল, ট্রলারে থাকাটাই দায়। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে আগেভাগেই তীরে ফিরে এসেছি।‘ অন্য আর এক মৎস্যজীবী জানান, ‘সাগরে ঢেউয়ের তাণ্ডবে টিকতে না পেরে আমাদের মত আনেক জেলে দ্রুত জাল টেনে কিনারের দিকে ফিরে আসেন।‘ যদিও আবহাওয়া ভালো হলেই ফের মাছের সন্ধানে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া বলে আশাবাদী মৎস্যজীবীরা।