কাঙাল পাকিস্তানে এবার এই কারণে হাহাকার! লাহোর থেকে করাচি, চারিদিকে ছড়াল আতঙ্ক

পাকিস্তানের (Pakistan) সব্বনাশ আটকানোর সাধ্য বোধ হয় তাদের আরাধ্য আল্লারও নেই। একে তো বন্যা কবলিত হওয়ার কারণে বেড়েছে খাদ্য সংকট এবং মানুষের যথা সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে এই বন্যা। আর তারফলে জলবাহিত রোগের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। অন্যদিকে সরকারি কোষাগারের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী! তারই মধ্যে খবর এল নয়া মহামারীর ব্যাপারে, যা করাচি (Karachi) থেকে লাহোর (Lahore) চারিদিকে বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়েছে।
২০২৩ সালে পাকিস্তানে পোলিওর প্রথম মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলায় তিন বছরের এক শিশু এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। পাকিস্তানের ‘ডন’ পত্রিকা থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাচ্ছে। এদিকে ফ্রেঞ্চ এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট (এফএডি) এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) প্রতিনিধিদল এই সমস্যা নির্মূলের চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি।
এ বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে রাখা ভালো যে, পোলিও সারাবিশ্ব থেকে নিরাময় হলেও পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে তা আজও বেশ সক্রিয়। বহুবার পোলিও কর্মীর প্রাণ নিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। তবে এবার নতুনকরে পোলিও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল কাদির প্যাটেল সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন।
পোলিওর জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের (এনইওসি) প্রধান ডাঃ শাহজাদ বেগ জানান, শিশুটিকে টিকা দিতে চাইলেও তার বাবা-মা সেই টিকা নিতে অস্বীকার করায় এই হাল হয়েছে। এর আগে করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত হয় শিশুটি। পাকিস্তানে এখনো পোলিও ভাইরাসের বড়সড় সমস্যা রয়েছে।
NEOC এর প্রধান জানান, “দক্ষিণ খাইবার পাখতুনখোয়া এর সাতটি জেলা রয়েছে, যার মধ্যে ডেরা ইসমাইল খান, লাক্কি মারওয়াত, ট্যাঙ্ক, বান্নু, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আজও পোলিও ভাইরাসের সমস্যা বর্তমান। এখনই সেখানে সক্রিয় টিকাকরণের প্রয়োজন রয়েছে।