ফের ঝটকা খেটে চলেছে আম জনতা, আবারও এত টাকা দাম বাড়তে চলেছে ভোজ্য তেলের

২০২২ সালের শুরুতেই ভোজ্যতেলের (Edible Oil) দাম বেশ বেড়েছে। জনগণকে রেহাই দিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তাতে তেলের দামে ভালো পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সাধারণ মানুষ। যদিও সামনেই আবারো তেলের দাম বাড়তে পারে। অন্তত সরকারের পদক্ষেপ থেকে তাই মনে হচ্ছে।

   

ভোজ্যতেল শিল্প সংস্থা SEA (সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশ) সরকারকে অনুরোধ করেছে ভোজ্য তেলের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার জন্য। বর্তমানে সেটি রয়েছে ১২.৫ শতাংশ। কিন্তু আগামিতে সেটি বাড়ানোর প্রস্তাব পেয়েছে সরকার। কিন্তু কেন এমন আর্জি জানিয়েছে তারা?

জানা যাচ্ছে যে, দেশীয় তেল রিফাইনারদের সুরক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছে SEA। তারা কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছে। সেখানে সংস্থাটি জানিয়েছে যে, অপরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত পাম তেলের মধ্যে শুল্কের পার্থক্য মাত্র ৭.৫ শতাংশ হওয়ার কারণে এ ভারতীয় রিফাইনারদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

SEA সভাপতি অজয় ​​ঝুনঝুনওয়ালা এবং এশিয়ান পাম অয়েল অ্যালায়েন্সের সভাপতি অতুল চতুর্বেদীর তরফে স্বাক্ষরিত চিঠি দেন পীযূষ গোয়েলকে। সেখানে তারা উল্লেখ করেন যে, ইন্দোনেশিয়াএবং মালয়েশিয়ার ভোজ্য তেলে ৭.৫ শতাংশের নিম্ন শুল্ক পার্থক্যকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে করা প্রয়োজন।

তাদের মতে অপরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত পাম তেলের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৭.৫ শতাংশ ফারাক রয়েছে, সেটা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে হবে। এবং পাম তেলের ওপর বর্তমানের ১২.৫ শতাংশ সুদকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। যদিও এই সিদ্ধান্তের প্রভাব যে গ্রাহকদের ওপর পড়বে না, সেই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন তারা।

cooking oil

আসলে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে পাম তেল আমদানি করে। দেশে পামোলিনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ভারতীয় রিফাইনারদের দ্বারা অপরিশোধিত পাম তেলও আমদানি করা হয়। এক্ষেত্রে অপরিশোধিত পাম তেল চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করে। ফলে অপরিশোধিত পাম তেলের ওপর জোর দেওয়ার আবেদন করেছেন SEA এর সদস্যরা।