আর এক ফোঁটাও জমবে না জল, এবার কলকাতায় ওয়াটারপ্রুফ রাস্তা বানাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার রাস্তাঘাটের এক প্রকার রূপরেখায় বদলে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শাসক দলের তরফে বারবারই জোর দিয়ে বলা হচ্ছে গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে কলকাতার (Kolkata) রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। তবে এসবের মাঝেই বড় পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)।

   

rain weather kolkata

বছরের পর বছর ধরে একটি সমস্যার সম্মুখীন বারবারই হয়ে আসছেন কলকাতা শহরের বাসিন্দারা, আর তা হলো একটুখানি বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় দিকে দিকে। যে কারণে রাস্তায় চলাফেরা করতে চরম সমস্যা হয় মানুষজনের। শুধু মানুষজন বললে ভুল হবে, একটুখানি জল জমলেই ব্যাপক যান চলাচলেও সমস্যা দেখা দেয়। আটকে যায় একের পর এক গাড়ি। তার ফলে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যানবাহন চালকদের। তবে এবার এই সমস্যা লাঘব করতেই বড় রকমের সিদ্ধান্ত নিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বলে খবর।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই খুব শীঘ্রই কলকাতার শহরের রাস্তায় ওয়াটারপ্রুফিং (Waterproofing) রাস্তা দেখা যেতে পারে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাস্তায় রাস্তায় রেকি অবধি করা হয়ে গিয়েছে সরকারের তরফে। আর এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে পুজোর আগেই। কোন কোন রাস্তার হাল ফেরানো যায় তা দেখতে ময়দানে নেমেছিলেন খোদ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সহ অনেকে।

একের পর এক রাস্তা পরিদর্শন করেছিলেন কলকাতা পুরসভার আলো বিভাগের মেয়র পরিষদ সন্দীপ রঞ্জন বক্সী, সড়ক বিভাগের মেয়র পরিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়-সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ক বিভাগের পুরসভার ডিজি এবং আধিকারিকরা। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে শ্যামবাজার, উল্টোডাঙ্গা, শিয়ালদহ বিদ্যাপতি সেতু, মল্লিকবাজার, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, গোলপার্ক, টালিগঞ্জ ফাঁড়ি, জেমস নং সরণি হয়ে জোকা, একবালপুর হয়ে হাজরা গিয়েই শেষ হয় রেকি।

nabanna mamata

জানা গিয়েছে, ইকবালপুর সংলগ্ন ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি অংশে ওয়াটারপ্রুফ রাস্তা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। বিটুমিন, স্টোন চিপস আর বালির সঙ্গে মেশানো হচ্ছে প্লাস্টিকের গ্রেনিউলস। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় উপাদান তৈরি করা হচ্ছে।

সম্প্রতি এই বিষয়ে বড় মন্তব্য করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, “রাস্তা তৈরির মূল উপকরণ পিচ আর পাথরের টুকরো। এমনি সময় এই দুইয়ের জোট মজবুতই হয়। কিন্ত এর সবচেয়ে বড় শত্রু জল। জলের সংস্পর্শে এলে পিচ আর পাথরের টুকরো আলাদা হয়ে যায়। আমাদের এখানে বৃষ্টি হয়েই থাকে। সঙ্গে রয়েছে এখানকার মাটি। এই জমি উর্বর, তাই রাস্তার জন্য সেটাও একটা বিষয়। সব মিলিয়ে রাস্তা খারাপ হয়েই থাকে। আমরা এর একটা সমাধান চাই। রাস্তা বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা একটা পদক্ষেপ করেছে প্লাস্টিকের সাহায্যে। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হয়েছে। রেজাল্ট ভাল। আগামী দিনে তা আরও বড় আকারে করা যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।”