লক্ষ্মীপুজো শেষ হতেই খুলে গেল সমস্ত সরকারী দফতর। ফের একবার অফিসমুখী হলেন সরকারী কর্মীরা। হ্যাঁ আজ সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই নতুন করে অফিসমুখী হলেন সরকারী কর্মীরা। একের পর এক দফতরে সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন কর্মচারীরা।
ফের রাস্তায় যেন সেই চেনা ভিড় লক্ষ্য করা গেল। তবে আপনারও নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগছে, এখনও তো কালীপুজো, দীপাবলি, ধনতেরস, ভাইফোঁটা রয়েছে। আপাত পক্ষে এসব উৎসব মিটে যাওয়ার পর সরকারী দফতরগুলি খোলে। কিন্তু তাহলে আজ হঠাৎ কেন অফিস খুলে গেল? তাহলে কি সবরকম ছুটি (Holiday) কমিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)? আপনারও নিশ্চয়ই মনে এই সকল প্রশ্ন জাগছে? বিস্তারিত জানতে অবশ্যই চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনটিতে।
আগামী নভেম্বর মাসে এক টানা অনেকগুলি ছুটি রয়েছে। সেই ছুটিগুলি কি তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীদের মার গেল? নাকি ডিএ নিয়ে অবশেষে কোনওরকম জট কাটতে চলেছে বলে সকলকে আজ অফিসমুখী করা হল? এরকম নানান ধরনের প্রশ্ন জাগছে সকলের মাঝে। আজ টানা ১৮ দিন পর সোমবার খুলল সমস্ত সরকারি দফতর।
তবে সরকারী সূত্রে খবর, এটা সাময়িক, আবারও একবার একের পর এক উৎসবের জেরে বন্ধ থাকবে সরকারী অফিস-কাছারি। ইতিমধ্যে তালিকা অবধি তৈরি হয়ে গিয়েছে। আসুন জেনে নিন বাংলায় কবে কবে ছুটি থাকবে? আগামী ১২ নভেম্বর কালীপুজো। সে দিন রবিবার পড়ে যাওয়ায় অনেকের মাথাতেই একপ্রকার হাত পড়ে গিয়েছে। যদিও সকলের কথা ভাবনা চিন্তা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কালীপুজোর অতিরিক্ত ছুটি দিয়েছে ১৩ ও ১৪ নভেম্বর। তার পরের দিন ১৫ নভেম্বর ভাইফোঁটার ছুটি। একই দিনে বিরসা মুন্ডার জন্মদিনের ছুটি রয়েছে।
আগামী ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার অতিরিক্ত ছুটি দিয়েছে নবান্ন। ঘটনাচক্রে, এ বার ছটপুজোও রবিবার পড়েছে। ১৯ নভেম্বর। রাজ্যে ছটেরও অতিরিক্ত ছুটি রয়েছে ২০ নভেম্বর, সোমবারে। এরপর গুরু নানকের জন্মদিন রয়েছে ২৭ নভেম্বর। সেদিনও থাকছে ছুটি। রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের জেরে খুশির হাওয়া বইছে সকলের মধ্যে।