বদলে গেল নিয়ম, শব্দের নতুন মাত্রা বেঁধে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! এবার আরও জোরে ফাটান বাজি

আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকদিন, তারপরেই এসে যাবে দীপাবলি। আট থেকে আশি সকলেই নতুন করে দীপাবলির আনন্দে মেতে উঠবেন। বর্তমানে দুর্গাপুজো পর্ব মিটে গিয়েছে। এদিকে দুর্গাপুজো মিটতেই এখন একদম দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছে লক্ষ্মীপুজো ও দীপাবলি। যদিও দীপাবলি যতই ঘনিয়ে আসছে, আতশবাজি এবং দূষণ নিয়ে আলোচনা ততই যেন বাড়ছে।   কখনও পরিবেশের জন্য কাজ করা সংগঠনগুলি আতশবাজি নিষিদ্ধ করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়, কখনও কখনও ব্যবসায়ী সমিতি তাদের ক্ষতির জন্য কাঁদতে শুরু করে। দূষণ ও আতশবাজির কারণে বায়ুর গুণগত মান প্রভাবিত হয়, যার ফলে অনেকেরই শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, হাঁপানি এবং ফুসফুসের সংক্রমণের শিকার হন। রোগীদের সমস্যা বাড়তে শুরু করে।

   

গত কয়েক বছরে দিল্লিতে ক্রমবর্ধমান দূষণের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেবল সবুজ আতশবাজির অনুমতি দিয়েছে। বিপজ্জনক এবং দূষিত আতশবাজির পরিবর্তে অনেকেই আছেন যারা সবুজ বাজির ওপর জোর দেন। এদিকে আসন্ন দীপাবলিকে ঘিরে সেজে উঠছে বাংলাও। আপনিও যদি পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং বাজি প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল একটি জরুরি খবর।

কালীপুজো, দীপাবলি যাই বলুন না কেন, দূষণ ও মানুষের অসুবিধা রুখতে প্রত্যেক বছরই বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি শব্দ মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয় বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে। এবারও কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঘটল না। এবার আরও বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন, অন্যান্য রাজ্য সরকার যখন শব্দবাজির সংখ্যা কমাচ্ছে তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal) এই শব্দের সীমা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিল। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন আপনি।

firecracker 1

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্য পরিবেশ দফতর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে আতশবাজির শব্দের মাত্রা নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তাতে এই বছর আতশবাজির শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২৫ ডেসিবেল। কেন শব্দের মাত্রা বাড়ানো হল? এক্ষেত্রে ডেসিবেলের মাত্রা বৃদ্ধি করার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ দপ্তর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্ট সবুজ বাজির ক্ষেত্রে ডেসিবলের কোন মাত্রা বেঁধে দেয়নি। যে কারণে এক্ষেত্রে গোটা দেশে যে মাত্রার প্রচলন রয়েছে সেই মাত্রাকেই মেনে নেওয়া হয়েছে।