বাংলায় মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ (Dearness allowance) নিয়ে বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। এদিকে যত সময় এগোচ্ছে ততই ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারী কর্মচারীরা (Employee)। সামনেই বড় উৎসব দুর্গাপুজো। এছাড়া আরও অনেক উৎসব আসছে। আর এই উৎসবের আবহে এখনও অবধি বকেয়া DA এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না মেলায় চরম হুঁশিয়ারি দিয়েই চলেছেন বিভিন্ন স্তরের রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা। ইতিমধ্যে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Of India) বিচারাধীন রয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা। একপ্রকার ডিএ ইস্যুতে তোলপাড় হয়ে রয়েছে রাজ্য। কবে এই নিয়ে বিতর্ক থামবে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এরই মাঝে ডিএ ইস্যুতে সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যেরই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। যা শুনে চমকে গেলেন সকলে। কী বলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী? আপনিও নিশ্চয়ই জানতে চান? তাহলে বিস্তারিত জানতে শেষ অবধি পড়ে নিন এই প্রতিবেদনটি।
সম্প্রতি রাজ্যের বিধায়কদের এক ধাক্কায় ৪০ হাজার টাকা বেতন বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই ঘটনার পর থেকে রীতিমতো আরও ক্ষোভে ফুঁসছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। বিভিন্ন রাজ্য সরকারী কর্মচারী ইউনিয়ন তাদের “বকেয়া” মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবিতে আন্দোলন আরও তীব্রতর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এরই মাঝে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একপ্রকার বোমা ফাটালেন। একপ্রকার যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের এতদিনের অবস্থান বিক্ষোভকে একপ্রকার পাত্তাই দিতে চাইলেন না রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘ডিএ মঞ্চ যাই বলুক না কেন সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন৷ তা নিয়ে কিছু বলব না। এই নিয়ে শীর্ষ আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। অন্য রাজ্যের বিধায়কদের এ রাজ্যের বিধায়কদের বেতনের তুলনা করি, তাহলে দেখা যাবে আমাদের রাজ্যের বিধায়করা কম বেতন পেতেন৷ তাই মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডিএ নিয়ে যাই বলা হোক না কেন, মুখ্যমন্ত্রী কি দলের বিধায়কদেরই বেতন বৃদ্ধি করেছেন।’
যাইহোক, পশ্চিমবঙ্গের ডিএ মামলার শুনানি চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই হতে পারে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। আদালত কার পক্ষে রায় দেয় সেদিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয়েছেন হাজার হাজার সরকারী কর্মী।