রোপওয়ে ছিঁড়ে যাওয়ার স্মৃতি এখনও টাটকা। একাধিক জীবনহানি হয়েছিল সেদিনের দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। এরপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা বছর। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ফের শুরু করা হয়েছিল রোপওয়ে। তবে আগের মতো না। অনেকটা দূরত্ব কম করে পরিষেবা শুরু করা হয়েছিল ২০১২ সালে। দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০০৩ সালে। এখন মাত্র ২.৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে দার্জিলিংয়ের রোপওয়ে।
দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্য্য আগের মতো আছে কি না সেটা তর্কের বিষয়। তবে একটা বিষয় সবাই মানবেন যে বাঙালির দার্জিলিং আজও অমলীন। প্রকৃতির টানে, মুক্তির স্বাদ পেতে মানুষ সময় পেলে ছুটে যান শৈল শহরে। উত্তরের রাণীর সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য এমন অনেকেই রয়েছেন যারা একাধিকবার দার্জিলিং ঘুরতে গিয়েছেন। পর্যটকরা যেমন দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন পছন্দ করেন, তেমনই পছন্দ করেন রোপওয়ে। রোপওয়ে এখন চলেলেও সেটা আড়াই কিলোমিটার কম দৈর্ঘ্য সম্পন্ন।
বিষয়টা অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। পর্যটকদের অনেকেই চাইছেন রোপওয়ে আবার চলুক আগের মতো। পর্যটকদের এই দাবিকে এবার হয়তো মান্যতা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে রোপওয়েকে পুরনো রূপ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন যে দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী রোপওয়ে সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আবার চালু করা হোক। সে ক্ষেত্রে আবার সেই পুরোনো রুটেই রোপওয়ে চালানো হতে পারে। ২০০৩ সালে রোপওয়ে ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা সবার কাছেই ছিল অপ্রত্যাশিত। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার। পুরনো রুটে রোপওয়ে ফের চালু করা হলে আগে গুরুত্ব দেওয়া হবে নিরাপত্তার ব্যাপারে।
আরও পড়ুনঃ ছবির মতো সুন্দর, সামান্য খরচে ঘুরে আসুন কাছের এই হিল স্টেশন! ভুলে যাবেন দিঘা-দার্জিলিং
দার্জিলিং যেহেতু ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা তাই সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। কোনো কারণে যদি সমস্যা হয়, তাহলেও যাতে কোনোভাবেই কারও মৃত্যু না হয় সেটা আগে নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার।