লোকসভা ভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। গরমিলের অভিযোগ উঠেছিল পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই। এবার সেই অভিযোগ নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসলে নবান্ন। কি সেই অভিযোগ বিষয়ে আপনিও জানতে চান? তাহলে আপনাকে জানিয়ে রাখি, তফসিলি জনজাতিভুক্ত শংসাপত্রের নামে বিরাট গড়মিলের অভিযোগ উঠেছে জেলায় জেলায়। যাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর এই নিয়েই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন। বিভিন্ন জেলাশাসক, মহকুমা শাসকদের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফে।
অভিযোগ উঠেছে, তফশিলি জনজাতিভুক্তদের সঙ্গে অনেকের মিলছে না। ফলে প্রশাসনিক স্তরে একটা বিরাট গণ্ডগোল হয়েছে বলে কার্যত মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্র মারফত খবর, যাঁদের পদবি তফসিলি জনজাতিভুক্তদের পদবির সঙ্গে মিল নেই সেই সব শংসাপত্র খুঁজে বের করতে হবে বলে নির্দেশনামা পাঠিয়েছে নবান্ন।
ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে সেসব নির্দেশনামা। এই নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, সশরীরে গিয়ে অথবা শুনানি করে প্রকৃত শংসাপত্র যাচাই করে বাকি বাতিল বা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের ব্যাপারে খোঁজখবর এবং শংসাপত্র কী ভাবে দেওয়া হল, তার রিপোর্টও তৈরি করতে হবে বলে খবর।
প্রশাসনের তরফে এক তথ্য মিলেছে। যেখানে চমকে দেওয়ার মতো তথ্যের দেখা মিলেছে। তথ্য অনুযায়ী, এখনও অবধি ২৩টি জেলা মিলিয়ে প্রায় ৪১ হাজার এরকম ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া শুনানির নোটিস দেওয়া হয়েছে প্রায় ১০ হাজার। ন্যায্য পাওয়া গিয়েছে ৮৬৬টি। এখনও পর্যন্ত বাতিলের সংখ্যা মোট দাঁড়িয়েছে ১৬০-এ। গড়মিল খুঁজে বের করতে গত ১৬ অগস্ট সব এসডিএ-দের লিখিত নির্দেশে সেই সব শংসাপত্র খতিয়ে দেখতে বলা হয়। এরপর সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর সব জেলাশাসককে গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালিয়ে শংসাপত্র বাতিল বা বাজেয়াপ্ত করতে বলেছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে সংঘটিত হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে ভুয়ো তফসিলি জনজাতিভুক্ত শংসাপত্র দাখিলের অভিযোগ উঠেছিল অনেক। এই ঘটনার জল গড়ায় অনেক দূর। মামলা আদালত অবধি গড়ায়। শুধু তাই নয়, এহেন ভুয়ো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দরুণ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিককে সাসপেন্ডও করা হয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে নবান্ন। এই গড়মিলের একপ্রকার মূলে যেতে একের পর এক নির্দেশিকা জারি করা হয় নবান্নের তরফে।