আর হবে না এই চিকিৎসা! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, মাথায় হাত জনতার

আপনার কাছেও কি রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) তরফে দেওয়া স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড রয়েছে? তাহলে আপনার জন্য রইল এক জরুরি খবর। বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) হাজার হাজার মানুষের কাছে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অনেক জরুরি একটি জিনিস। এই কার্ডের মাধ্যমে অনেকে চিকিৎসা পেয়ে থাকেন।

   

যদিও এবার এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে চরম সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল সরকার, যারপর কিছুটা হলেও ধাক্কা খেতে চলেছেন বাংলার কয়েক হাজার মানুষ। একপ্রকার বাংলার মানুষের মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসা বীমা প্রকল্প ‘স্বাস্থ্য সাথী’ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপনিও কি জানতে চান? তাহলে বিপদে পড়ার আগে ঝটপট পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি।

আপনারও যদি হাড়ের সমস্যা থেকে থাকে এবং আপনিও যদি এই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর কথা ভাবনা চিন্তা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল খুবই খারাপ খবর। কারণে এবার সরকার জানিয়ে দিল, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে আর বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করানো যাবে না কোনওভাবেই। আপনিও যদি হাড়ের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এবার থেকে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে আপনাকে যে কোনও সরকারী হাসপাতালে গিয়েই চিকিৎসা করাতে হবে।

সম্প্রতি এই মর্মে একটি নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ্যে এনেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানেই সাফ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই কার্ডের ব্যবহার এবার সরকারী হাসপাতালেই করতে হবে। যদিও একটি বিষয়ের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রম করা হয়েছে।  কারোর যদি পথ দুর্ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে সেই আহত ব্যক্তি হাড়ের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে এই কার্ডের ব্যবহার বেসরকারি হাসপাতালে করাতে পারবেন। সরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকলে, তবেই বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে অস্ত্রোপচারের জন্য রেফার করা যাবে।

সরকারের কাছে একটি অভিযোগ বারবার আসছিল যে মুর্শিদাবাদ ও মালদহে সরকারি হাসপাতাল থেকে অর্থপেডিক রোগীদের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে রেফারের ঘটনা গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। তাদের সবাইকে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে পরিকল্পিত অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। ব্যস তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

swasthya sathi card mamata

জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার স্বাক্ষর করা এই নির্দেশিকা জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। মূলত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে দুর্নীতি এবং বেনিয়ম ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।