যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) পড়তে আসা প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। গত আগস্ট মাসে ঘটা এই ঘটনাকে ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলিতে। উঠেছে র্যাগিংয়ের মতন ঘটনার অভিযোগ। যদিও এই ঘটনার পরেও ফেরেনি হুঁশ, বরং বেশ কিছু স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় উঠেছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। এরকম ঘটনা বারবার ঘটায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশিষ্ট মহল থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) মনে। ফলে এবার বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
যাতে আর কাউকে এরকম হেনস্থার শিকার না হতে হয় এর জন্য কলকাতা সহ রাজ্যের (West Bengal) স্কুলগুলিতে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বিশেষ করে গার্লস স্কুলগুলিতে এই সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুলে কাজ শুরু করেও দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
স্কুলগুলিতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে যাতে সহজেই তা ট্র্যাক করা যায় সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। উল্লেখ্য,গত ১০ আগস্ট যাদবপুর বয়েজ হোস্টেলের সামনে প্রথম বছরের পড়ুয়ার দেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে তিনি র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। আরও অভিযোগ ওঠে, ওই বয়েজ হোস্টেলে প্রায়শই নতুন পড়ুয়া এলে তাঁদের এই র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে মহিলা পড়ুয়াদের প্রতি মৃত পড়ুয়ার লাজুক মনোভাবের কারণে তার হোস্টেলের কয়েকজন সহপাঠী তাকে “সমকামী” হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। প্রকৃতপক্ষে, ‘দুর্ঘটনা’ ঘটার আগে, সে ক্রমাগত তার হোস্টেলের সতীর্থদের বলেছিলেন যে তিনি সমকামী নন। মৃত্যুর আগের রাতে তিনি নদিয়ায় তার বাবা-মাকে ফোন করে র্যাগিংয়ের শিকার হওয়ার কথা জানান। ব্যস, তারপরেই সব শেষ হয়ে যায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১৩ জনকে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে সিসিটিভি লাগানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।