দুর্গা পুজো, লক্ষ্মী পুজো মিটতেই ফের একবার বড় রকমের সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। নভেম্বর মাসেই একটি দীর্ঘদিন ব্যাপী বিশেষ শিবিরের আয়োজন করতে চলেছে সরকার। পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক জেলায় এই বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবনা চিন্তা করেই বড় রকমের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল বলে মনে করা হচ্ছে।
এই শিবিরগুলি বিশেষ করে বাংলার মানুষকে যাতে একাধিক বিষয় নিয়ে সাহায্য করা যায় তার জন্যই মূলত আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই মর্মে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদীর তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ বৈঠক হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন উচ্চশিক্ষা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হওয়া এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় জেলায় শিবিরের আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, পশ্চিমবঙ্গ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন আপনি। পশ্চিমবঙ্গ ভবিস্যত ক্রেডিট কার্ড স্কিম এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড স্কিমের যোগ্য সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য রাজ্য সরকার ২ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত ব্যাঙ্ক শাখায় একটি বিশেষ প্রচারাভিযানের আয়োজন করবে। ব্যাংকগুলিকে এই সময়ের মধ্যে ভবিষ্যতের অধীনে ৬০,০০০ এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট স্কিমের অধীনে ২০,০০০ মুলতুবি যোগ্য আবেদন মঞ্জুর করার লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যসচিব ব্যাঙ্কগুলিকে এই সময়ের মধ্যে উভয় প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যে অনুমোদিত মামলার ঋণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের এই বিশেষ শিবির সংক্রান্ত বিষয়ে ভালো করে প্রচার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে এই শিবির থেকে ছাত্রছাত্রী ও পরিযায়ী শ্রমিকরা যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিতে পারেন সেটিও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সরকার বিশেষভাবে বলেছে, যে সকল পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁদের তথ্যও ১-১০ নভেম্বরের মধ্যে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। ১-৬ নভেম্বর বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হবে বলে খবর।