ব্যাংক (Bank) ব্যবস্থাতে চেক (Cheque) খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কিন্তু এই চেক বাউন্স হয়ে গেলে অর্থাৎ চেক থেকে টাকা তুলতে না পারলে বেশ সমস্যায় পড়েন সাধারন মানুষ। আর তাই এবার জনসাধারনের কথা ভেবে কেন্দ্র খুব জলদি এক নতুন নিয়ম নিয়ে আসছে। তার ফলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা রেহাই মিলতে পারে।
এবার শিল্প সংস্থা পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি দেশের অর্থ মন্ত্রককে চেক বাউন্সের ক্ষেত্রে পরামর্শ দেয়। তারা জানায় যে, চেক বাউন্সের ক্ষেত্রে কিছু দিনের জন্য ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক স্থগিতাদেশ দিতে। সাথে চেক প্রদানকারীদের উপযুক্ত জবাবদিহি করতে। অর্থ মন্ত্রক এখন এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে।
দেশে চেক বাউন্সের ঘটনা বেড়ে চলায় অর্থ মন্ত্রক এবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকে। সেখানেই সরকার এরকম পরামর্শ পায়। আসলে চেক বাউন্সের ফলে বেড়েছে আইনি বোঝাপড়া। তাই এবার থেকে আইনি জট কমাতে কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। এর মধ্যে এক সিদ্ধান্ত হলো চেক স্বাক্ষরকারীর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে তার অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া।
এছাড়া সরকারের এই মিটিং থেকে পাওয়া অন্য পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে চেক বাউন্সের ক্ষেত্রে গ্রাহককে ঋণ খেলাপি হিসাবে বিবেচনা করা। আর এইভাবে বিভিন্ন ক্রেডিট তথ্য সংস্থাকে রিপোর্ট করে চেক প্রদানকারীর ক্রেডিট স্কোর কমিয়ে দেওয়া। সরকার এই সমস্ত সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখছে। তাছাড়া এক্ষেত্রে আইনি মতামতও নিতে পারে সরকার।
সরকার যদি এই সমস্ত পরামর্শগুলোকে বাস্তবায়িত করে তাহলে চেক প্রদানকারী চেকের টাকা দিতে বাধ্য থাকবেন। শুধু তাই না, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে এবার থেকে চেক বাউন্সের ঘটনায় আর আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। আর সেই সাথে বন্ধ হবে চেক ইস্যু করার অভ্যাস। শুধু তাই না, এবার থেকে চেক ইস্যুকারীকে চেকের অর্থের দুই গুণ টাকা জরিমানা এবং ২ বছর অবধি হাজতবাস করতে হতে পারে।