তেলের দামের ওপর বিরাট ট্যাক্স ছাড়! উৎসবের মরশুমের আগে দারুণ সুখবর জনগণের জন্য

বিশ্বে একের পর এক অঘটন ঘটে চলায় অগ্নিমূল্য হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফল ভুগতে হচ্ছে সারা দুনিয়াকে। সাধারণ মানুষের পকেটের হল বেহাল হয়ে গিয়েছে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে। জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড সংখ্যায় থাকায় তার প্রভাব পড়েছে নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে। কিন্তু এবার সরকার যা পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন সবাই।
আসলে দীর্ঘদিন ধরে দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেও মোদী সরকার তার প্রভাব ফেলেনি জনগণের ওপর। আর তাই গত কয়েক মাসে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়েনি বা কমেনি। তবে এখন অবস্থা কিছুটা ভালো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে কিছুটা পতন কমেছে। আর তারই সুফল ভোগ করবে জনতা।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তেলের দামে কিছুটা পতন হওয়ায় সেই লাভের ভাগ জনগণকেও দিতে চলেছে মোদী সরকার। এবার অপরিশোধিত তেলের ওপর উইন্ডফল ট্যাক্স কমিয়েছে সরকার। আর সাথে সাথে ডিজেল ও বিমানের জ্বালানিতে রপ্তানি শুল্কও আগের চেয়ে অনেকটা কমানো হয়েছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক দর কমানোর পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলের ওপর উইন্ডফল ট্যাক্স কমিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে ডিজেল ও বিমান জ্বালানি রপ্তানিতে শুল্কও কমানো হয়েছে। এতদিন সরকার দেশের মধ্যে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলের দাম ১৩,৩০০ টাকা প্রতি টন থেকে কমিয়ে ১০,৫০০ টাকা প্রতি টন করেছে। তাছাড়া ডিজেলের শুল্ক ১৩.৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা প্রতি লিটার করেছে।
গত ৬ মাসের রেকর্ডে সর্বনিম্ন দাম করা হয়েছে : বিমানের জ্বালানিতে রপ্তানি শুল্ক প্রতি লিটারে ৯ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ টাকা করেছে। এই দর লাগু হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে। আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৬ মাসে সর্বনিম্ন দাম হওয়ায় সরকার উইন্ডফল গেইন ট্যাক্সে ছাড় দিয়েছে।
আগে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের জন্য গড়ে ৯৭.৪০ ডলার খরচ করতে হতো ভারত সরকারকে। কিন্তু এখন সেই দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৯২.৬৭ ডলার প্রতি ব্যরেল। গত জুলাই মাসের ১ তারিখ ভারত সরকার প্রথমবার উইন্ডফল প্রফিট ট্যাক্স আরোপ করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে অপরিশোধিত তেলের দাম কমায় সেই সুবিধা এবার জনগণকেও দিতে চেয়ে ট্যাক্সে ছাড় দিয়েছে মোদী সরকার।