২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ (Cricket World Cup) যত এগোচ্ছে, শেষ চারের লড়াই ততই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। আগে প্রথম চার ম্যাচ জিতে খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। ক্রম তালিকার শীর্ষে ছিল দল। সেখানে এখন টানা তিন পরাজয়, সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে পাকিস্তানের (Pakistan national cricket team) পক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে যেতে না পারলে কপাল খুলতে পারে পাকিস্তানের।
সেমিফাইনালে পাকিস্তান যদি চতুর্থ দল হয় এবং ভারত যদি শীর্ষে থাকে, তাহলে ২০১১ সালের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। ২০১১ সালে মোহালির মাঠে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সেমিফাইনাল খেলা হয়েছিল। ক্রমশ বদলাতে থাকা সমীকরণে ভারত বনাম পাকিস্তান সেমিফাইনালের আশা ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যেও প্রকট হতে শুরু করেছে। ইতিপূর্বে দুটি দল আহমেদাবাদে একে অন্যের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল। বাবর আজমদের হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছিল ভারত।
সাত ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। আগামী ৪ নভেম্বর মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এরপর পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের শেষ ম্যাচটি হবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। পাকিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে পারে অন্যদিকে ও নিউজিল্যান্ড যদি দুটি ম্যাচ হেরে যায় বা কোনো একটি ম্যাচ হেরে নিউজিল্যান্ডের নেট রান রেট আরও কমে যায় তাহলে সেমিফাইনালে চলে যেতে পারে পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেনি। শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখনও খেলেনি টিম ইন্ডিয়া। বাকি সব ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকবে ভারত। একই সঙ্গে ভারত যদি আফ্রিকার কাছে একটি ম্যাচ হেরে যায় এবং নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বড় জয় না পায়, তাহলে আফ্রিকা আফগানিস্তানকে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে আসতে পারে। ভারত যদি টেবিলের শীর্ষে থাকে এবং পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডকে টপকে চতুর্থ দল হয়, তাহলে সেমিফাইনালে আবারও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল মুখোমুখি হবে। আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ২০২৩ এর সেইফাইনাল।