মজুত বিপুল সোনার ভাণ্ডার! পশ্চিমবঙ্গের গা ঘেঁষে মিলল গুপ্তধন, বদলে যাবে ভারতের ভবিষ্যৎ

ফের একবার দেশে (India) মিলল সোনার ভান্ডার (Gold Mine)। অনেকেই বলছেন যে দেশে গুপ্তধনের সন্ধান মিলেছে। এক রাজ্যে একপ্রকার সোনার খনি মিলেছে বলে মনে করা হচ্ছে, যারপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই বেজায় খুশি সকলে । জানা গিয়েছে, এবার বিহারের (Bihar) বাঙ্কায় সোনার মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে ইতিমধ্যে একটি সার্ভের কাজ করতে শুরু করে দিয়েছেন। গত কয়েকদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো জেলার অন্য কোনও গ্রামে সোনা সনাক্ত করতে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।

   

gold mine

জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (Geological Survey of India) দল জেলার কাটোরিয়া ব্লকের লাকরামা পঞ্চায়েতের কারভাভ গ্রামে খনন কাজ চালিয়েছিল সম্প্রতি। এরপর এই খননে সোনাসহ আরও অনেক খনিজ পদার্থের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া যায়। এখন জিএসআই এখানে ক্রমাগত সার্ভে তো করছেই, পাশাপাশি খনন এবং অধ্যয়নের কাজও চলছে জোরকদমে।

এখন জিএসআই বাঙ্কা জেলার জয়পুর থানা এলাকার চান্দে পট্টি গ্রামে সোনার পাথরের বিষয়ে তথ্য পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এখানে একটি সোনার খনি থাকলেও থাকতে পারে। এ বিষয়ে জিএসআই টিম এখানে পৌঁছে খনন কাজ করছে। সেই সঙ্গে এখানকার পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

গ্রামের লোকজন বলছেন, জিএসআই টিম গ্রামের ৬টি স্থানে গর্ত খুঁড়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে নিয়ে গেছে। এরপর বোরিং পয়েন্ট থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের জমি প্রতি ২০ ফুট পর পর মেশিনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ব্রিটিশ আমলেও এই স্থানে গুপ্তধনের মজুদ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিটিশ সরকার সে সময়ও এখানে খনন করেছিল। এখানে উপস্থিত ৮-৯টি বড় গর্ত ইংরেজ সরকারের খননের বিষয়টি নিশ্চিত করছে।

gold mine

প্রায় ৬ মাস পর জিএসআই টিম আবার সক্রিয় হওয়ায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আনন্দের পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে তিনটি হেলিকপ্টার মাটির খুব কাছে গ্রামের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কারওয়ার গ্রামের পর চান্দে পট্টি গ্রামে এই খনন কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, যেসব জমিতে খনিজ সম্পদ তোলা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। অন্য এক আধিকারিক শুধু বলেছেন, শুধু উপরের সমীক্ষার কাজ চলছে, তবে এই অঞ্চলটি ভারতের গর্ব হতে চলেছে।