৬ কোটির গহনা লুট করে মাত্র ১০০ টাকার জন্য ধরা পড়ল ডাকাতরা! এভাবে নিষ্পত্তি হল মামলা

হঠাতই এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। এক বড়সড় সাফল্য পেয়েছে সেন্ট্রাল দিল্লির অপারেশন সেলের স্পেশাল সদস্যরা। এবার সামনে এসেছে এক ভয়াবহ ডাকাতির রহস্য। আসলে গত ৩১শে আগস্ট ভোররাতে পাহাড়গঞ্জে হয়ে যায় এক ভয়াবহ ডাকাতি। মুম্বাইয়ের এক কুরিয়ার কোম্পানি “জয় মাতা দি” এর অফিসে এই ব্যাপক ডাকাতি হয়।

কুরিয়ার কোম্পানির দুই কর্মচারী গয়নার ব্যাগ ডেলিভারী করতে যাচ্ছিলেন আর সেই সময়ই হঠাৎ পাঁচ দুষ্কৃতী এসে বাধা দেয় তাদের। খুবই সুপরিকল্পিত ছিল সেই ডাকাতি, এমনকি একজন তো আবার পুলিশের ড্রেসে এসে হানা দেয়। এইভাবে ডাকাতি দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা শহর।

পার্সেল ডেলিভারী করতে যাওয়ার সময় পুলিশ কর্মীর ড্রেসে এসে চেকিং করার নামে কর্মচারীদের ওপর লংকা গুঁড়ো ছড়িয়ে দেয়। আর তারপরই গয়নার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। এরপর শুরু হয় তদন্ত। প্রথমেই সেখানের সমস্ত CCTV ফুটেজ কালেক্ট করে পুলিশ। সেখান থেকেই জানা যায় যে, বিগত ৫ দিন ধরে ওই কর্মচারীদের ওপর নজর রাখছিল দুষ্কৃতীরা।

তদন্ত এগোয় যখন CCTV তে ধরা পড়া দুষ্কৃতীরা যে ড্রাইভার এর সাথে কথা বলছিল তাকে শনাক্ত করে খুঁজে বের করে। আর তাকে পাওয়া মাত্রই বের হয় পুরো ডাকাতির রহস্য। চালককে Paytm করে ওই দুষ্কৃতীরা। আর সেখান থেকেই নাম্বার ট্র্যাক করে অপরাধীদের খুঁজে বের করে পুলিশ।

নাম্বার মিলতেই পুলিশ জানতে পারে যে এটি আসলে রাজস্থানের নাম্বার। আর সেই তদন্তের জাল এগিয়ে নিয়ে যেতেই ধরা পড়ে পুরো চক্র। অভিযানে সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন ডিস্ট্রিক্ট ডিসিপি শ্বেতা চৌহান। তিনি তার অভিজ্ঞ ইন্সপেক্টর সন্দীপ গোধরাকে পুরো টিম সহ অভিযানের জন্য রাজস্থানে পাঠান। এরপরই সেখানে পৌঁছে পুলিশ হাতেনাতে পাকড়াও করে অপরাধীদের।

জানা যাচ্ছে পাঁচ দুষ্কৃতীর মধ্যে ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পেরেছে। ওই তিন জন হলো নাগেশ, শিবম এবং মনীশ। এরপরই উদ্ধার হয় সমস্ত চুরি যাওয়া জিনিস। একেবারে ৬ কোটি টাকার গহনা সব জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে দিল্লী পুলিশ।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button