হিন্ডেনবার্গকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ব্যাপক উত্থান আদানির! একদিনের আয় শুনলে মাথা ঘুরে যাবে

বিগত দেড় মাস ধরে বড়সড় ঝড় বয়ে গিয়েছে গৌতম আদানির (Gautam Adani) ওপর দিয়ে। আমেরিকার এক শর্ট সেলিং সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) আদানি গ্রুপ (Adani Group) এবং গৌতম আদানির বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তারপর থেকে বড় অংকের সম্পদ হারান গৌতম আদানি। কিন্তু ধীরে ধীরে আবারো মার্কেটে ফিরে এসেছেন তিনি।
আমেরিকান শর্ট সেলিং সংস্থাটি (শর্ট সেলিং সংস্থা : যেসমস্ত কোম্পানি যেনতেন প্রকারে বিভিন্ন কোম্পানির স্টকের দাম কমিয়ে দেয় এবং সেখানে মোটা অংকের বিনিয়োগ করে। পরবর্তী কালে উক্ত স্টকের দাম বাড়লে সেখান থেকে বেশ মোটা অংকের মুনাফা অর্জন করে নেয়) একটি প্রপাগান্ডা রিপোর্ট প্রকাশ করে। প্রথম দিকে বেশ বড় অংকের সম্পদ হারান আদানি। তারপর থেকে দ্রুত বাজারে কামব্যাক করেছেন তিনি।
বিগত দুই সপ্তাহ ধরে দ্রুতহারে দাম বেড়েছে আদানি গ্রুপের শেয়ারগুলোর। একদিকে ভারতীয় শেয়ারবাজারে কিছুটা পতন হয়েছে তো অন্যদিকে আদানি বেশ মোটা অংকের মুনাফা অর্জন করেছেন। গত পরশুই তিনি ২৪ নাম্বারে ছিলেন আর আজ বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আদানি ২১ নাম্বারে পৌঁছেছেন।
যেভাবে আদানি নিজের সম্পদ বাড়াচ্ছেন তাতে শীঘ্রই তিনি শীর্ষ ২০ তেও পৌঁছে যাবেন। আমেরিকান গবেষণা সংস্থাটির রিপোর্টের আগে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠতা। কিন্তু রিপোর্ট আসার পর থেকেই অনেকে শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করে এবং সম্পদ হারান আদানি।
জানিয়ে রাখি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টর কারণে মোট ৬৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় তার। এখন তার সম্পদ বেড়ে বেড়ে পৌঁছেছে ৫৫.৫ বিলিয়ন ডলারে। শীঘ্রই যে আবার নিজের পুরোনো স্থান অধিকার করবেন আদানি সেবিষয়ে অনেকেই নিশ্চিৎ। তবে একই সময়ে সম্পদহানি হয়েছে আরেক ধনকুবের মুকেশ আম্বানির। ১.৪৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়ে আম্বানি এখন ১২ নম্বর স্থানে পৌঁছেছেন।