ভারতে ব্যবসা চালিয়ে যেতে মিটমাট! আদানি-আম্বানির মধ্যে সাক্ষরিত হল এই গোপন চুক্তি

আদানি গ্রুপ (Adani Group) বহুদূর এগিয়ে গিয়েছে। মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) পিছনে ফেলে দিয়ে গৌতম আদানি (Gautam Adani) এখন ভারতের শীর্ষ ধনী। দুই সংস্থার মধ্যে লড়াই চললেও দেশের ভিতর নিজেদের কাজ করে খাওয়ার ক্ষেত্রে দুই শিল্প সংস্থাই সহাবস্থান বজায় রেখেছে। জানা যাচ্ছে দেশের দুই বিত্তবান ব্যক্তি নিজেদের মধ্যে গোপন চুক্তি’ স্বাক্ষরিত করেছে।
জানা যাচ্ছে আগামী মে মাসেই অতি গোপনীয়তার সাথে স্বাক্ষরিত হয় সেই চুক্তি। যা দুই সংস্থার সমস্ত শাখা সংগঠনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদিও এই দুই সংস্থার পক্ষ থেকে অফিসিয়াল ভাবে এখনো কিছুই জানানো হয়নি এই নিয়ে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, এরকম চুক্তি হয়ে থাকে।
বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা নিজেদের মধ্যে ‘শিকার-বিরোধী চুক্তি’র আওতায় বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে একে অপরের প্রতি। আর এই সমস্ত শর্ত মেনে চলতে বাধ্য হয় দুই সংস্থা। এই শর্তের মধ্যে এও থাকে যে, এক সংস্থা অন্যের দক্ষ এবং প্রতিভাবান কর্মী-আধিকারিক ভাঙিয়ে নিতে পারবে না। জানা যাচ্ছে এই শর্তের মধ্যে অন্যতম হলো একে অপরের দক্ষ এবং প্রতিভাবান কর্মী ভাঙিয়ে নিতে পারেনা।
আদানি গ্রুপ এবং রিলায়েন্স গ্রুপ নিজেদের মধ্যে অনেক শর্ত দিলেও আপাতত কর্মী ভাঙিয়ে নেওয়াকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন তারা। তবে এই প্রথম না, এর আগেও বহুবার রিলায়েন্স এবং আদানি গ্রুপের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে অত্যন্ত গোপনীয়তায় এবং অনাড়ম্বরভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আবার এমনও হয়েছে কোনো কোনো সময় পুরো ব্যাপারটাকে মৌখিক করেই সম্মতি জানিয়েছে তারা।
আদানি এবং রিলায়েন্স গ্রুপের রমরমা এখন অনেক বেশী। টেলিকম সেক্টর থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক গ্যাস, বিদ্যুৎ, খাদ্য সামগ্রী সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই দুটি সংস্থার বিবিধ উপস্থিতি রয়েছে। অনেক সময় এই দুই সংস্থা একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আম্বানি খুচরো ব্যবসায় নামার পর সেখানে নিজের উপস্থিতি জোর করতে চলেছেন গৌতম আদানি।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের শীর্ষ ধনীর খেতাব রেখেছিলেন মুকেশ আম্বানি। কিন্তু তাকে পিছনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যান গৌতম আদানি। আর এখন তিনি পৃথিবীর দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।