সারি সারি হরিণ, বড় বড় জাহাজ! একদিনেই ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে, ভুলে যাবেন দিঘা

ঢাকে কাঠি পড়েছে। মণ্ডপ তৈরি প্রস্তুতি একপ্রকার তুঙ্গে রয়েছে। কারণ আর মাত্র কয়েকদিন পরেই আসছে দুর্গাপুজো। খুশির আনন্দে মেতে উঠবে ৮ থেকে ৮০। পঞ্চমী থেকে দশমী, সকলের কত কিছু যে প্ল্যান হচ্ছে তার কোনও ইয়ত্তা নেই। দেদার খাওয়া দাওয়া, প্যান্ডেল হপিং, শপিং ও আরও কত কিছু প্ল্যান রয়েছে পুজো প্রেমী বাঙালিদের। ইতিমধ্যে হেরিটেজের তকমা পেয়েছে দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোর পাঁচটা দিনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা শেষ থাকে না। কলকাতা ও রাজ্যের পুজো দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন। তবে সেই কথায় আছে না বাঙালির পায়ের তলায় রয়েছে সরষে।

আর এই সরষের তাগিদে অনেক অনেক বাঙালি আছেন যারা পুজোর সময় একটু বাইরে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। আপনিও কি সেই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েন? তাহলে আপনার জন্য রইল একটি ঘুরতে যাওয়ার নতুন স্থানের সন্ধান। এই জায়গাটি আপনার মন ভালো করে দিতে পারে।

আপনি নিশ্চয়ই ৫৮ গেটের নাম শুনে থাকবেন। কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টা দূরত্বে অবস্থিত এই জায়গা থেকে আপনি দিনের দিনই ঘুরে আসতে পারবেন। এখানে এলে আপনি দুই নদীর সঙ্গমস্থল দেখতে পারবেন। এখানে থাকা দুই নদীর সঙ্গমস্থল আপনার মন ভালো করে দিতে পারে। এছাড়া উপরে পাওনা হিসেবে তো রয়েছেই কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য।

উত্তর-পশ্চিম থেকে দামোদরে এসে ৫৮ গেটে মিশেছে ভাগীরথী হুগলি নদীতে। এখানে এলে আপনি দেখতে পারবেন নদীর ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে ছোট বড় নৌকা । সেইসঙ্গে থাকছে পণ্যবাহী জাহাজও। এখানে একটি মিনি জু রয়েছে যেটির নাম গড়চুমুক মিনি জু। হাওড়া-সহ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র শ্যামপুরের গড়চুমুক মিনি জু। এই গড়চুমুকে বন্যপ্রাণীর ডাকও শোনা যাবে। সব মিলিয়ে এখন গড়চুমুক বেশ জমে উঠছে।