অনেক হল দিঘা! সামান্য খরচে ঘুরে আসুন কাছের এই জায়গা থেকে, হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির সৌন্দর্যে

গরমের মরশুমে পাহাড় কার না ভালো লাগে! বিশেষ করে গ্রীষ্মের তপ্ত দহনজ্বালার মধ্যে পাহাড়ের হিমশীতল বাতাসে একটু ঘটে আসলে মনমেজাজ বেশ ফুরফুরে হয়ে ওঠে। কিন্তু বারবার দার্জিলিং (Darjeeling) বা কালিম্পং যেতে আর কারই বা ভালোলাগে। কিন্তু দার্জিলিং এর থেকে একটু দূরেই পাহাড়ের ওপর হিমালয়ের কোলে রয়েছে স্বর্গরাজ্য সিকিম (Sikkim)। সেখানের এক অনন্য সুন্দর টুরিস্ট ডেস্টিনেশনের বিষয়ে জানাবো আপনাদের।
আজ আমরা সিকিমের খেচেওপালরি হ্রদ নিয়ে জানাতে চলেছি আপনাদের। সেখানে ভারতের (India) দুই মহান সংস্কৃতি, হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থান রয়েছে। তবে শুধু তীর্থ যাত্রীদের জন্য নয়, নিজের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কারণে আকর্ষণীয় পর্যটন ক্ষেত্র হয়ে ওঠেছে এই স্থান। সববার পাহাড়ের একই রূপ দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে গেলে এই স্থান আপনার জন্য একদম পারফেক্ট।
NJP থেকে মাত্র ১৩৮ কিমি দূরে অবস্থিত এক হ্রদ। সিকিমের এই লেকের সৌন্দর্য্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নেমে গাড়ি করে সিকিমের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন আপনি। যদিও প্রথম দিন গিয়েই হয়তো দেখা হয়ে ওঠবেনা। পরেরদিন সক্কাল সক্কাল রেডি হয়েই বেরিয়ে পড়ুন প্রকৃতির আশ্চর্য্য রূপ দেখতে।
জানিয়ে রাখি, খেচেওপালরি হ্রদ দেখার সেরা সময় অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে। দুর্দান্ত প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়াও সিকিমের বিশেষ কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠানও দেখতে পাবেন আপনি। উল্লেখ্য খেচেওপালরি হ্রদের আকৃতি অনেকটা পায়ের ছাপের মতো। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, স্বয়ং ভগবান শিবের পায়ের ছাপের জন্যই এমন আকার এসেছে।
এছাড়া হ্রদের চারিপাশে সবুজ বনানী থাকলেও তার পাতা পড়েনা হ্রদের জলে। অবাক করার মতো বিষয় এই যে, সমস্ত পাতা নিয়ে চলে যায় পাখির দল! হ্রদের পাশেই দেখতে পাবেন খেচেওপালরি গ্রাম। সেখানে হোমস্টে রয়েছে থাকার জন্য চাইলে একরাত সেখানে পাহাড়ের নির্জনতা উপভোগ করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, এখান থেকে আপনি সিকিমের সর্বোচ্চ কাঞ্চনজঙ্ঘা জলপ্রপাত, তাশি চোলিং মঠ এসমস্তকিছুই দেখতে পাবেন। তাই গরমের মরশুমে পাহাড়ের এক অনন্য রূপের দর্শন পেতে টুক করে কয়েকদিনের ট্যুরে বেরিয়ে পড়ুন খেচেওপালরি। ।