সূর্যাস্তের পর থাকা নিষেধ! দিঘা-পুরী ভুলে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছের এই অজানা গ্রাম থেকে

বর্তমানে ব্যস্ততার দিনে লম্বা ট্যুরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া আর হয়ে ওঠেনা, বিশেষ করে ২ দিনের বেশি ছুটি পাওয়া এখন বেশ অসাধ্য এক ব্যাপার। কিন্তু কর্মক্লান্ত মন ঘুরে আসতে চায়। আর বাঙালির উড়ু উড়ু মনকে বেশীদিন একজায়গায় রেখে দিলেও সমস্যা হতে পারে। এমতাবস্থায় ঘুরতে যাওয়ার এক দারুণ স্থান নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা।

rakhal raja temple bardhaman temples fgcf50ux68

সপ্তাহান্তে কলকাতার (Kolkata) কাছে পিঠেই কোথাও ঘুরে আসার জন্য এক আদর্শস্থান নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য। আজ আমরা রাখাল রাজার মন্দির সম্পর্কে জানাতে চলেছি। কলকাতার বেশ কাছেই রয়েছে এই রাখাল রাজার মন্দির। কিন্তু তাও অনেকেই জানেন না সেমন্দিরের কথা। বৈঁচিতে অবস্থিত এই রাখাল রাজার মন্দির। সেই কবে ষোড়শ শতকে তৈরি হয়েছে এক সুপ্রাচীন মন্দির।

15994736 565654323624537 6938020570381650512 o

এই মন্দিরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে অনেক কাহিনী। এই মন্দিরের নির্মাণও করেন কাটোয়ার রামকানু গোস্বামী। তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরেই এই মন্দিরের স্থাপনা করেন। শুধু মন্দির না, মন্দিরের মূর্তি ঘিরেও রয়েছে দারুণ কাহিনী। স্বপ্নাদেশেই মূর্তি তৈরীর কথা রয়েছে। সেখানে নির্দেশ আসে যে, যেখানে মন্দর তৈরি হবে সেখানের পুকুরে ভেসে ওঠবে কাঠ, আর তাই দিয়েই যেন মূর্তির নির্মাণ করা হয়।

rakhal raja temple bardhaman temples i4rsyf40p7

আপনারা যারা বৃন্দাবনের নিধুবন গিয়েছেন তারা জানেন যে, বিকেল চারটার পর আর সেখানে কাওকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এখানের নিয়মও অনেকটাই একইরকম। সূর্যাস্তের পর এই মন্দির চত্ত্বরে কারোর থাকা নিষেধ। কারণ কথিত রয়েছে যে, তারপরই নাকি সেখানে নিজের ধেনুদের নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাখাল রাজা। আর তাই এই নিষেধাজ্ঞা।

rakhal raja temple bardhaman temples kqgoms2ija

কিন্তু সেখানে যাবেন কীভাবে?
মাত্র একদিনের ছুটিতেই যেতে পারেন সেই স্থান। হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনের লোকাল ট্রেনে ধরে নেমে পড়ুন বৈঁচি স্টেশনে। এরপর সেখান থেকে বাসে চড়ে পৌঁছে যেতে পারবেন বৈদ্যপুর। এক দিনের ছুটিতেই অনায়াসে ঘুরে আসা যায় সেইস্থান।

rakhal raja34 1678722075

জানিয়ে রাখি যে, দোল পূর্ণিমা, মাঘি পূর্ণিমা এবং জন্মাষ্টমীর পূণ্যলগ্নে সেখানে বিরাট আকারের উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিরাট সংখ্যক দর্শনার্থীরা জড়ো হন সেখানে। আপনি সেখানে গেলে পুজো দিতে আসতে পারেন সামনেই থাকা গৌরী মায়ের মন্দিরেও। দুই জায়গা থেকেই পুণ্যলাভ হবে আপনার।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button