কলকাতা থেকে মাত্র ৪ ঘণ্টা দূরে, দিঘা-পুরী ভুলে ঘুরে আসুন এই ‘সি বিচ” থেকে! খরচও সামান্য

কলকাতা (Kolkata) থেকে যদি সমুদ্র দেখতে যাওয়ার থাকে তাহলে প্রথমেই আসে দীঘা (Digha), এরপর মন্দারমনি। তীর্থ করার প্রয়োজনে পুরী (Puri)। রহস্য রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হলে সুন্দরবন। ব্যাস এর বাইরে ঘুরতে যাওয়ার যেন জায়গাই নেই। কিন্তু শান্ত ও মনোরম সমুদ্র সৈকত দেখতে চাইলে কোথায় যাওয়া যেতে পারে? চিন্তা করবেন না, সেই জায়গার হদিশ নিয়ে হাজির আমরা।
ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আমরা জানবো উড়িষ্যার (Odisha) ধুবলাগাড়ির (Dublagadi) কথা। এই সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে যাওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যেমন ধরুন পর্যটক খুব বেশি যায়না সেখানে। অর্থাৎ আপনি একা একাই বেশ ভালভাবে মনভরে ঘুরতে পারবেন।
এছাড়া ধুবলাগাড়ির ঝাউবন ওড়িশায় বেশ বিখ্যাত। সেই সৌন্দর্য্যও উপভোগ করতে পারেন। এছাড়া সেখানের বিশাল বিস্তৃত সমুদ্রসৈকতের রূপ মাধুর্য্য উপভোগ করতে পারেন তারিয়ে তারিয়ে। নানান পাখিরও দেখা পেতে পারেন উপকূলবর্তী এলাকাতে।
কীভাবে যাবেন : ধুবলাগাড়ি যাওযার জন্য আপনাকে কোলাঘাট থেকে গাড়ি নিতে হবে। এরপর সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লেই হলো। মাঝখানে একবার লঞ্চ করার জন্য দাঁড়াতে হতে পারে। সমস্যার এই যে, ধুবলাগাড়িতে বিশেষ কোনও হোটেল নেই।
যদিও কয়েকটি নেচারক্যাম্প রয়েছে সেখানে। থাকা, খাওয়া মিলিয়ে আপনার মোট খরচ হতে পারে ১৫০০ টাকার মধ্যে। তবে আগে থেকে ফোন করে বুক করে রেখে দিলে ভালো হয়, কারণ পরে নাও থাকতে পারে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে ট্রেনে করেও যেতে পারেন আপনি। এজন্য আপনাকে বালাসোর স্টেশনে নামতে হবে, এরপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ধুবলাগাড়ি। মোট ৪ ঘণ্টা লাগবে এই পথ আসতে, কিন্তু এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা স্মৃতির মণিকোঠরে পুরে ফেলতে পারবেন। দুই একদিনের ছুটি কাটানোর আদর্শ স্থান এই ধুবলাগাড়ি।