ভুলে যাবেন দিঘা-পুরী! লোকাল ট্রেনে করে চলে যান কলকাতার কাছের পাহাড়-নদী-ঝরনার দেশে

আপনিও কি একসঙ্গে পাহাড় ও জলের আনন্দ নিতে চান? কিন্তু কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে আপনার জন্য রইল এই প্রতিবেদনটি। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনি সেরা একটি ভ্রমণের স্থানের সন্ধান পাবেন।
আপনি কি কখনও ঘাটশিলা (Ghatshila) গেছেন? বা দলমা পাহাড়ে গিয়েছেন? সুবর্ণরেখা নদীর জলে পা ভিজিয়েছেন? এগুলি শুনে নিশ্চয়ই আপনারও লোভ হচ্ছে এই জায়গাটিতে যাওয়ার? তাহলে অবশ্যই চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনটিতে।
আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন যে ঝাড়খন্ডের (Jharkhand) সিংভূম জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হল এই ঘাটশিলা। ঝাড়খন্ড পর্যটনের অন্যতম দর্শনীয় গন্তব্য হল সবুজ অরণ্যের মধ্যে সুবর্ণরেখা নদীর পাশে এই ঘাটশিলার অবস্থান।
৮০-র দশকের জনপ্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের পটভূমি হিসেবে জায়গাটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আপনিও যদি শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে ও মুক্ত বাতাসে কয়েকটা দিন কাটাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ঘাটশিলা পরিদর্শন করতে হবে।
ঝাড়খন্ড পর্যটনের এই জায়গাটি খুবই শান্ত এবং নির্মল গ্রামীণ জীবনের সারমর্মকে প্রতিফলিত করে। আপনি এই জায়গায় অনেক উপজাতি গ্রামও দেখতে পারেন। এখানকার পাহাড়, জল, ঝর্ণা, লেক আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
আপনি যদি এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে চান তবে আপনি অটো বা ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন। ঘাটশিলা থেকে একটু দূরেই আপনি ফুল্ডুংরি পাহাড়ে যেতে পারেন।
এছাড়া বুরুডি লেক, রতনী মন্দির, ধারাগিরি জলপ্রপাত, নারোভা ফরেস্ট, সুরদা পাহাড়, মোসাবনি কপার মাইন প্রভৃতি দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন। এসব পড়ে নিশ্চয়ই আপনারও জানতে ইচ্ছা করছে যে কীভাবে ঘাটশিলা পৌঁছাবেন? কলকাতা থেকে অনেক ট্রেন রয়েছে, যেমন স্টিল এক্সপ্রেস, জন শতাব্দী এক্সপ্রেস, ইস্পাত এক্সপ্রেস। এছাড়াও এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট না পেলে লোকাল ট্রেনে ব্রেক জার্নি করে যেতেই পারেন।