শীতকাল (Winter) আসছে। আর এই শীতকালে কোথাও ঘুরতে না গেলে কি হয়? অনেকেই আছেন যারা শীতকাল মানেই হল পিকনিক করতে যাওয়া মাস্ট। আবার অনেকেই আছেন যারা শীতকাল এলেই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।
কিন্তু আপনিও কি এই শীতকালে একঘেঁয়ে দিঘা (Digha), পুরী (Puri) ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? আপনিও কি একটু নতুন কোনও জায়গার সন্ধান করছেন? তাহলে শুধুমাত্র আপনার জন্য রইল এই প্রতিবেদনটি। আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনারা এমন এক জায়গার সন্ধান পাবেন যেটি বাংলাতেই অবস্থিত এবং এখানে ঘুরতে গেলেই আপনার শরীর ও মন দুটোই একদম চাঙ্গা হয়ে যাবে বৈকি। এই জায়গায় জেতে আপনাকে আবার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকাও খরচ করতে হবে না।
চুপির চর (Chupi Char) সম্পর্কে শোনেননি এমন মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে না হয়তো। পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) জেলার পূর্বস্থলীতে (Purbasthali) অবস্থিত ‘চুপি চর’ বিখ্যাত পর্যটন স্থল যা শীতকালে হাজার হাজার পরিযায়ী এবং জলপাখিকে আকৃষ্ট করে। এই জায়গাটি প্রকৃতিপ্রেমী এবং পাখি পর্যবেক্ষকদের জন্য একটি স্বর্গ।
এদিকে পর্যটকদের টানতে এই জায়গাটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, সাংসদ সুনীলকুমার মণ্ডল, পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় পরিদর্শন করেছে এই পাখিরালয়।
বর্ধমান পূর্ব আসনের সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার পূর্বস্থলীর এই গন্তব্যটিকে আরও আবাসন সুবিধা এবং পর্যটনের সাথে যুক্ত ভাল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্য হিসাবে গড়ে তোলা যেতে পারে।“
পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা এই চুপির চর পরিদর্শন করেন। সুনীল মণ্ডল বলেন, ‘আমরা সারা বছর ধরে এই স্থানটিকে একটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরতে চাই। শীতকালে, বিশাল অক্সবো হ্রদ এবং তার আশেপাশে পরিযায়ী পাখিরা পর্যটকদের জন্য আনন্দদায়ক।‘