দিঘা-ডুয়ার্স অতীত, ট্রেনে করে চলে যান কলকাতার কাছের এই গ্রামে! একসঙ্গেই পাবেন পাহাড়-ঝর্ণা

বসন্তকালে ঘুরতে যাওয়ার কথা হলে নাম আসে পুরুলিয়ার (Purulia)। সেসময় চারিদিক ভরে ওঠে লাল পলাশে। আর এই সময়টাই আদর্শ সময় পুরুলিয়া ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু পুরুলিয়ার কোথায় ঘুরতে যাবেন তাই ভাবছেন তো? তাহলে আপনাদের জানিয়ে জন্য আমরা এক দারুণ গন্তব্যস্থল নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনার ঘুরতে যাওয়ার তালিকায় থাকুক মুরগুমা (Murguma)।

পুরুলিয়ার মাটি রুক্ষ শুষ্ক হলেও মুরুগুমা কিন্তু যেন সবুজ বনানীর কোলে গড়ে ওঠা এক স্থান। সেখানে রয়েছে পলাশ, শাল, সেগুন, মহুলের সবুজ বনানী। অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে থাকা এই স্থানটি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অধিকারী।

1549860163 dscn2734

মুরগুমা গড়ে উঠেছে ড্যামকে কেন্দ্র করে। সেখানের শান্ত এবং নিরিবিলি পরিবেশ মানুষের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠেছে। সেখানের ‘সুইসাইড পয়েন্ট’ নামের ভিউ পয়েন্টটি মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। যদিও আত্মহত্যার সাথে এই স্থানের কোনো যোগ নেই, কিন্তু এমনই অদ্ভুত নাম রয়েছে।

আপনি যদি মুরগুমার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে চান তাহলে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে পারেন। টিলার জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে ঘুরপথ। সেখান দিয়ে পেরিয়ে গেলেই পৌঁছে যাবেন সাঁওতালি গ্রামে। উৎসবের মরশুমে গেলে আপনি স্থানীয় প্রাচীন শিল্প, কারুকার্য আঁকা মাটির দেওয়ালে নানান শিল্পকর্ম দেখতে পাবেন।

12346346 1136275529764635 7514928856828734872 n 1

এছাড়া পরিযায়ী পাখি দেখার থাকলে আপনি ঘুরে আসতে পারেন এই স্থান। আবার হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন কাঁসাই নদীর তীরে অবস্থিত দেউলঘাটা। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, পুরুলিয়া শহর থেকে ৫৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই স্থান। এবার কীভাবে যাবেন সেটাও জানিয়ে দিচ্ছি আপনাদের।

evening ambience and

কীভাবে যাবেন : এজন্য আপনাকে পুরুলিয়া স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। এবার পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে টোটো করে বেগুনকোদর পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে সামনেই মুরগুমা। আবার পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন এই স্থান। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, সেখানে কয়েকটি রিসর্ট রয়েছে, চাইলে সেখানে থাকতে পারবেন আপনি।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button