বাসমতি চালের (Basmati Rice) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বিভিন্ন রাজ্যে এই সুগন্ধি চালের চাষ হয়। এই বাসমতি চাল লম্বা ও সরু হয়, খাবারের পাতে রাখলে এই চালের সুগন্ধে মনটা ভালো হয়ে যায় সবার। বিশেষ করে যারা ভাত প্রেমী। এই বিশেষ ধরনের চাল উৎপাদন করে বিপুল লাভের মুখ দেখেন কৃষকরা।
যে কোন পুজো পার্বন হোক বা বিশেষ অনুষ্ঠান, হরেক রকম বিরিয়ানি (biryani) হোক বা পোলাও সকলের পছন্দ এই বাসমতি চাল। কিন্তু এই বাসমতি চালের মূল্য বেশ অনেকটাই আকাশছোঁয়া। মধ্যবিত্ত ঘরে বাসমতি চালের ভাত মানে উৎসবের সমান। যদিও এই বাসমতি চালের (Basmati Rice) একপ্রকার বাজার মারতে আসতে চলেছে এক বিশেষ ধরনের চাল আর এই চাল উৎপাদন হবে অন্য কোনও রাজ্য নয় এই বাংলাতেই (West Bengal)।
হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। আপনিও যদি ভেতো বাঙালি হয়ে থাকেন তাহলে শুধুমাত্র এই প্রতিবেদনটি রইল আপনার জন্য। আর এই বিশেষ চালটি পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়ায় (Chinsurah) তৈরি হচ্ছে। জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত হচ্ছে এই নতুন ধরণের ধান। এর ফলে আর অন্যান্য রাজ্যের কাছে বাসমতি চালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। সব থেকে বড় খবর হল এই চালের স্বাদ ও গন্ধ টেকা দিতে পারবে বাসমতি চালকেও শুধু তাই নয় দামও হবে সাধ্যের মধ্যেই।
এই বিশেষ চালটির নাম হল চুঁচুড়ামতী। এই চালটিকে নিয়ে বিগত ২০০৮ সাল থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। বেশ কয়েক ধাপ কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এই বিশেষ চালকে। এই বিশেষ চালটি সম্পর্কে চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুঁচুড়ামতীর চাষ শুরু হলে তা কম সময়েই বাসমতীর বাজার ধরে নেবে। এই বিশেষ চাল সম্পর্কে কৃষি বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, খরিফ ও বোরো মরশুমে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে এই ধান চাষ করা যাবে।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীরের মতো কয়েকটি রাজ্যে যে বাসমতীর চাষ হয় তা এ রাজ্যে চাষ করলে ফলন কম হয়। তাছাড়া বাসমতীর সেই গন্ধও থাকে না। তাই বাংলার আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়েই চুঁচুড়ামতীর চাষ হবে বলে জানা গেছে। রাজ্য ও জাতীয় স্তরে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ‘চুঁচুড়ামতী’। এখন শুধু ‘স্টেট ভ্যারাইটি রিলিজ কমিটি’- গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার অপেক্ষা। আর সবুজ সংকেত মিললেই চাষিদের মধ্যে এই ধানের বীজ দেওয়া হবে।