গভীর সমুদ্রে জাল ফেলতেই চোখ কপালে উঠল মৎস্যজীবীদের (Fisherman)। কী হয়েছে জানেন? বর্তমান সময়ে এপার হোক বা ওপার বাংলা, গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে আশাহত হচ্ছেন না সাধারণ মৎস্যজীবীরা। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ (Ilish) মাছ নিয়ে তিরে ফিরছেন সকলে। এমনকি এই মাছ বিক্রি করে ভালো রকম টাকাও উপার্জন হচ্ছে সকলের। ফলে মুখে হাসি ফুটেছে তাঁদের।
এরই মাঝে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে (Bangladesh) গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া একটি ট্রলারেই ধরা পড়ল কয়েক মণ ইলিশ মাছ। আর এই পরিমাণ হল ৯৬ মণ। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। জানা গিয়েছে, প্রায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ভালো পরিমাণ মাছের আশায় মৎস্যজীবীরা মাঝ সমুদ্রে জাল ও ট্রলার নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নোয়াখালীর মিজান মাঝির ভাই ভাই নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার।
এরপর সমুদ্রে জাল ফেলতেই তাঁদের এবং সকলের চোখ একপ্রকার আটকে যায়। ঝাঁকে ঝাঁকে তাঁদের জালে উঠে আসে রূপোলী শস্য। জানা গিয়েছে, গত সোমবার ১৪ আগস্ট দুপুরে পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য মার্কেটে ফয়সাল ফিস নামক মাছের আড়ৎ এ নিলামে ওই মাছ ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ভাই ভাই নামের ট্রলারের জেলেরা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তাঁদের সকলের চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল আনন্দ। তাঁরা জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২৩ জুলাই শেষ হয়েছে। এরপর একটানা আট দিন নিম্নচাপ শেষে গত চার দিন আগে শত শত ট্রলার নিয়ে উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য পাড়ি জমান। ইতিমধ্যে কিছু কিছু ট্রলার মাছ নিয়ে বিভিন্ন ঘাটে ফিরে আসছে। তবে অনেক জেলেরা আশানুরূপ মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন। তবে কিছু কিছু ট্রলারে আশানুরূপ মাছ ধরা পরছে। যদিও দুপুরে গভীর সমুদ্র থেকে ট্রলারভর্তি ইলিশ মাছ নিয়ে ফেরেন নোয়াখালীর মিজান মাঝির এফবি ভাই ভাই নামের একটি ট্রলার। ট্রলার থেকে মৎস্যজীবীরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ আড়তে আনেন।