আলু (Potato)…এটি এমন একটি সবজি যেটি সবকিছুর সঙ্গেই খাওয়া যায়। কথাতেই আছে বাঙালির আলুর দোষ আছে। যাইহোক, আলু ছাড়া বাঙালির হেঁশেল তো বটেই, কারোর হেঁশেলই অসম্পূর্ণ। আলু কত ধরনের দেখেছেন আপনি? আপনি অবশ্যই লাল এবং সাদা আলু দেখেছেন, তবে আপনি কি কখনও কালো আলু দেখেছেন বা এর কথা শুনেছেন?
শুনে আকাশ থেকে পড়লেন তো? ভাবছেন কালো আলুও হয় নাকি? তাহলে আপনার উত্তর হল হ্যাঁ হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই আপনি বাজারে কালো আলুও পাবেন। প্রকৃতপক্ষে, কৃষিতে নতুন ফসলের রঙ এবং রূপ পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিহারের (Bihar) গয়া (Gaya) জেলার কৃষকরা (farmer) কালো আলুর চাষ করছেন। কালো আলু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারীও।
বিহারের গয়া জেলার কৃষক আশিস কুমার কালো আলু চাষ শুরু করেছেন। আর এই কাজ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আশিস। জানা গিয়েছে, এবার ২০২৪ সালের নভেম্বরে তিনি কালো আলু চাষের প্রচার করেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে তিনি অনেক জায়গায় কালো আলু চাষ শুরু করেছেন। তিনি জানান, ‘আমরা মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রের কৃষকদের কাছে তাদের দাবির ভিত্তিতে বীজ পাঠিয়েছি, যাতে তারাও আগামী দিনে তাদের রাজ্যে আলু চাষ করতে পারে। কালো আলুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে। সেই সঙ্গে এতে চিনির পরিমাণও কম থাকে। কালো আলু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। কালো আলুকে বেগুনি আলুও বলা হয়।‘
গয়ার কৃষক আশিস কুমার সিং গত বছর আমেরিকা থেকে প্রথম কালো আলুর বীজ আমদানি করেছিলেন। তিনি পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ১৪ কেজি বীজ সংগ্রহ করেছিলেন এবং এটি চাষ করেছিলেন। পরীক্ষাটি সফল হয়েছে এবং ১০০০ কেজিরও বেশি আলু সফলভাবে উত্পাদিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আশিস। এর পরে, তিনি পরবর্তী বছরের জন্য বীজগুলি কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করেছিলেন। এবার চাষাবাদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কালো আলুর ফসল অনেক কাটায় রোপণ করা হয়েছে। গতবার তারা ১৪ কেজি দরে প্রায় এক হাজার কেজি কালো আলু উৎপাদন করেছিলেন আশিস। এসব কালো আলু বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ কেজি কেজি দরে। আশিস বলেন, ‘কখনও কখনও এর দাম কেজি প্রতি ৫০০ টাকায় পৌঁছে যায়।‘