বেতন ৮ হাজার আর সম্পত্তি ৩.৫ কোটি টাকার! জেনে নিন এক সেলসম্যান কিভাবে এত ধনী হলেন

প্রতি মাসে বেতন মাত্র ৮০০০ টাকা কিন্তু সম্পত্তি ৩.৫ কোটিরও বেশি। সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের এই ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে।
অভিযুক্ত গোবিন্দ বাগওয়ান কন্নড়ের ডাকাকুই গ্রামের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি মধ্যপ্যদেশে আসেন একজন সেলসম্যান হিসেবে। ১৯৯৩ সালে তিনি এই সেলসম্যানের চাকরিতে যোগদান করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি মাসিক বেতন পেতেন ৫০০ টাকা। তা ক্রমশ বেড়ে বর্তমানে 8০০০ টাকা হয়েছে। কিন্তু একজন সেলসম্যানের এতো সম্পত্তি আসে কোথা থেকে? এরপরই তার সম্পত্তির তদন্ত শুরু করে EOW। মঙ্গলবার প্রায় সকাল ৭ টা নাগাদ গোবিন্দ বাগওয়ানের বাড়িতে অভিযান চালায় EOW। তদন্ত চলাকালীন গোবিন্দের কালো টাকার রহস্য প্রকাশ্যে আসতেই বিষ্মিত হয়ে যায় সমস্ত কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার তদন্তসূত্রে প্রায় ২৪ জন কর্মকর্তা, ও জওয়ান তার কন্নড়ের ডাকাকুইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায়। তদন্তের সময় গোবিন্দের বাড়ি থেকে ৪৭ বিঘা জমি, ডাকাকুই গ্রামে চারটি বাড়ি, একটি ট্রাক্টর, সোনা-রূপার গহনা এবং এলআইসি সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য নথি উদ্ধার করেন তারা।
গোবিন্দ বাগওয়ান যখন ১৯৯৩ সালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তখন তার মাসিক বেতন ছিলো ৫০০ টাকা যা বর্তমানে ৮ হাজার টাকা। অভিযানের সময় গোবিন্দের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৬ হাজার ৬৮৫ টাকা বলে জানা গেছে। কার্যত এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দেখে হতবাক সকলেই।
এই প্রসঙ্গে EOW-এর ডিএসপি অজয় কাইথোয়াস জানিয়েছেন, ‘উল্লিখিত জমিটি কয়েক বছর আগে কেনা হয়েছিল, সেই সময়ে এর দাম ছিল বিঘা প্রতি ২০-২৫ লক্ষ টাকা।’ শুধু তাই নয় সম্পত্তির হিসেব লুকোতে অভিযুক্ত তার দুই ছেলের নথিতেও হেরফের করেছে। সেখানে নিজের পরিচয় বাবার জায়গায় বড়ো দাদা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। তদন্তসূত্রে খবর, অভিযুক্ত এই সেলসম্যান অতীতেও কৃষকদের ঋণ দেওয়া নেওয়া নিয়ে ঝামেলায় জড়িতো ছিলো। এবং থানায় এই বিষয়ে মামলাও দায়ের করা হয়েছিলো। এই মামলায় তিনি জেলও গেছেন।