নয়া দিল্লিঃ ভারতে ঘটে চলেছে একের পর এক বৈল্পবিক ঘটনা। সোমবারই ইডির তরফে জানানো হয় যে তারা মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে Amway এর মোট ৭৫৭ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুল জেলায় Amway কোম্পানির জমি, কারখানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সবই ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করে তা রয়েছে ইডির অধীনে। বর্তমানে অ্যামওয়ে তাদের সম্পত্তি কোনোভাবেই পারবেনা খরচ করতে বা অন্য কোথাও হস্তান্তর করতে।
ইডির তরফে জানানো হয় যে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অ্যামওয়ের মোট সম্পদের মধ্যে ৪১১.৮৩ কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি এবং এছাড়া রয়েছে ৩৬ টি অ্যাকাউন্ট এ মোট ৩৫৪.৯৪ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স। নামি কোম্পানির মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় মামলা দেখে বিস্মিত অনেকেই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কোম্পানির বিরুদ্ধে বহু-স্তরীয় বিপণন “কেলেঙ্কারি” চালানোর অভিযোগ আনে। যেখানে অ্যামওয়ের বেশিরভাগ পণ্যের দাম বাজার চলতি যেকোনো নামি কোম্পানির দামের চেয়ে অনেকটাই বেশী।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে জানানো হয়েছে যে, আসলে অ্যামওয়ে কোম্পানি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং এর আড়ালে চালাচ্ছে একটি সুপরিল্পিত জালিয়াতি। সাধারণ মানুষকে প্ররোচিত করা হচ্ছে বেশি দামে এই পন্যগুলিকে ক্রয় করতে। অনেকেই ব্যবহার করার জন্য কিনছেন না এই পন্যগুলি। বরঞ্চ তাদের বারবার বোঝানো হচ্ছে কিভাবে এই পণ্য গুলি কিনে এবং বিক্রি করে সহজেই রোজগার করা সম্ভব হবে অনেকটা টাকা। এজন্য তাদের এজেন্টদের বিরাট কমিশন দেয় অ্যামওয়ে।
কোম্পানির প্রচারে বারবার বোঝানো হচ্ছে কিভাবে সদস্যরা সহযজেই ধনী হতে পারেন। প্রচারের সময় পণ্যের গুণমান তো দূরের কথা, পণ্যের উপরেই কোনো গুরুত্ব থাকে না। তবে এইসবের মধ্যে অ্যামওয়েকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানায় যে, যেহেতু পুরো ব্যাপারটাই বিচারাধীন তাই তারা এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করবে না। তবে এসব ধারণাকে ভ্রান্ত বলেই দাবি তাদের।কিন্তু তাদের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে থাকা মোট ৫.৫ লক্ষ লোকের রুটিরুজি এর সাথে বিঘ্নিত হবে বলে জানায় তারা।