আজ গোটা দেশ কালীপুজো ও দিওয়ালির আনন্দে মেতে উঠেছে। ঘরে ঘরে জ্বলছে আলো, প্রদীপ। একপ্রকার খুশির আমেজে গা ভাসিয়েছেন গোটা দেশবাসী। আর কালীপুজো, দিওয়ালি আতশবাজি ছাড়া কিন্তু অসম্পূর্ণ। যাইহোক উৎসবকে ঘিরে জমে উঠেছে দিওয়ালির বাজারও।
বর্তমান সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে ভোকাল ফর লোকালের আহবান জানানো হচ্ছে। অর্থাৎ দেশীয় জিনিস ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে মানুষকে। সম্প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবার ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ বছর দীপাবলি উপলক্ষে কেউ যদি কোনও পণ্য কেনেন তাহলে, তা যেন দেশের কারিগরদের হাতে তৈরি হওয়া হয়ে থাকে। একদিন আগে এ নিয়ে একটি টুইটও করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর তরফে। আজ তার প্রভাব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। স্থানীয় পর্যায়ে মাটির প্রদীপ, প্রতিমা ইত্যাদির জন্য প্রচুর কেনাকাটা হয়েছে। সেই সঙ্গে দীপাবলির দিন ফুলের ব্যবসাও বাড়তে চলেছে। আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন, ৭ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে দীপাবলি। কোভিডের পর এই প্রথম মানুষ কোনও রোগের ভয় ছাড়াই দীপাবলি উদযাপন করবে। এ কারণে দেশের বাজারগুলোতে বড় প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন ক্রেতারা। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স অনুমান করেছিল যে এই বছর দীপাবলি উৎসবের মরসুমে প্রায় ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকার টার্নওভার হতে পারে। তবে সব হিসেব গুলিয়ে গিয়েছে ক্যাটের। সিএআইটির মতে, বর্তমানে সারা দেশে ব্র্যান্ডেড ও নন-ব্র্যান্ডেড ব্র্যান্ডের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা রয়েছে।
শনিবার মৃৎশিল্পীদের তৈরি মাটির প্রদীপ, মাটির তৈরি ভগবানের মূর্তি, বন্দনভার, বিভিন্ন স্টিকার কেনা হয়েছে। অনুমান অনুযায়ী, আজ সারা দেশে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার এসব পণ্য বিক্রি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দীপাবলিতে ভোকাল ফর লোকালের ডাক দিয়েছিলেন। যার পরে এই আইটেমগুলির বিক্রয়ে বড় বৃদ্ধি পেয়েছে।
উৎসব উপলক্ষে দেশে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে পদ্ম ফুল, গোলাপ, গণ্ডার, রজনীগন্ধা, মোগরা, কানের, গোদাবরী ও জুঁই দিয়ে এসব ফুল বিক্রি হয়।সিএআইটি-র জাতীয় সভাপতি বিসি ভারতিয়া এবং জাতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, দিল্লি এবং সারা দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে দীপাবলির পুজো করবেন। গ্রাহকদের কেনাকাটার কথা মাথায় রেখে প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে এবার দীপাবলির পুজোয় বায়োমেট্রিক মেশিন, পেমেন্ট ডিভাইস এবং মোবাইল ইয়ারপড ব্যবহার করবেন ব্যবসায়ীরা।