লাগাতার কিছু সময় ধরে কুর্মিদের আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ হয়েছে রেল (Indian Railways) পরিষেবা। শুধু রেল বললে ভুল হবে জেলায় জেলায় কুর্মি সম্প্রদায় মানুষের বিক্ষোভে জেরে একপ্রকার নাজেহাল অবস্থা হয়েছে সাধারণ মানুষের। সব থেকে বেশি এই আন্দোলনে প্রভাব পড়ে রেলের উপর। মাঝে কয়েকটা মাস বিরতি থাকলেও আবারো একবার আন্দোলনে নামতে চলেছেন কুর্মিরা। এদিকে কুর্মিদের আন্দোলনের কারণে ইতিমধ্যেই আশঙ্কায় কাঁপতে শুরু করেছে ভারতীয় রেল।
আগামীকাল বুধবার অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর নতুন করে আন্দোলনের সামিল হতে চলেছেন কুর্মি সম্প্রদায়ের মানুষরা। একপ্রকার আগামীকাল বৃহত্তর আন্দোলন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামীকালের আন্দোলন যাতে সফল হয় তার জন্য দফায় দফায় বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের একাধিক গ্রাম গুলোতে বৈঠক হয়েছে কুর্মিদের। এই প্রসঙ্গে আদিবাসী কুর্মি সমাজের মুখপাত্র হরমোহন মাহাতো জানিয়েছেন ২০ সেপ্টেম্বরের আন্দোলন ঐতিহাসিক হবে।
এদিকে কুর্মিদের এই আন্দোলনের আবহে বড়সড় ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল। যে কারণে আগামীকাল সাধারণ রেলযাত্রীদের যথেষ্ট ভোগান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বহু ট্রেন। জানা গিয়েছে, কুর্মি আন্দোলনের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় আগামীকাল বুধবার বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এই মর্মে সোমবার রাতেই তড়িঘড়ি রেল কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
কোন কোন ট্রেন বাতিল থাকবে আপনিও নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছুক? তাহলে অবশ্যই বিস্তারিত পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি। রেলের তরফে জারি করা এক বিবৃতি অনুযায়ী , আগামীকাল বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের যে ট্রেনগুলো বাতিল থাকবে সেগুলো হল…
ট্রেন নম্বর ১৩৪০৪ ভাগলপুর–রাঁচী বনাঞ্চল এক্সপ্রেস।
ট্রেন নম্বর ১৮১৮৬ গোড্ডা-টাটানগর এক্সপ্রেস।
ট্রেন নম্বর ১৭০০৭ সেকেন্দরাবাদ-দ্বারভাঙা এক্সপ্রেস।
ট্রেন নম্বর ২৮১৮২ কাটিহার-টাটানগর এক্সপ্রেস।
ট্রেন নম্বর ২২৫১১ লোকমান্য তিলক-কামাখ্যা এক্সপ্রেস।
ট্রেন নম্বর ১৫৬৬২ কামাখ্যা-রাঁচী এক্সপ্রেস।
ট্রেন নম্বর ১৫০২৮ গোরক্ষপুর-হাতিয়া মৌর্য এক্সপ্রেস ।
ট্রেন নম্বর ১৩২৮৮ রাজেন্দ্রনগর-দুর্গ দক্ষিণ বিহার এক্সপ্রেস।
ট্রেন নম্বর ০৭০৫২ রক্সৌল-সেকেন্দরাবাদ স্পেশাল এক্সপ্রেস।
গত বছরের সেপ্টেম্বর ও ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে কুর্মি সংগঠনের হাজার হাজার মানুষ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন স্টেশনে টানা পাঁচ দিন অবস্থান নিয়েছিলেন। এই আন্দোলনের কারণে উভয় বারই প্রায় ২৫০টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছিল রেলকে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল হাওড়া-মুম্বই রুট। এনএইচ -৪৯ ও বেশ কয়েক দিন ধরে স্তব্ধ হয়েছিল এবং শতাধিক যানবাহন আটকে পড়েছিল। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডের মনোহরপুর, নিমদি, গোমো ও মুরিতে রেললাইনের ওপর হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে আন্দোলন করবে বলে খবর।