গেছেন তো অনেকবার, জানেন দিঘার প্রাচীন নাম কী ছিল? এই ইতিহাস জানেন না ৯৯% মানুষ

দিঘা (Digha)…নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুদূর জলরাশি, হকারদের ভিড়, খাবারের সম্ভার। ৮ হোক বা ৮০…দিঘা হল সকলের কাছে একটা আলাদাই আবেগ। আপনিও নিশ্চয়ই অনেকবারই দিঘা গিয়েছেন? কিন্তু এখানকার পুরনো নাম কী ছিল সেটা জানেন কি?

দিঘার ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই কিছু জানেন না। এই দিঘাতে পা রেখেছেন বহু নামী মানুষ। এই দিঘাতে পা রেখেছেন ব্রিটিশ আমলের ওয়ারেন হেস্টিংস অবধি। তিনি নিজে এখানে এসে এই জায়গার তারিফ করে গিয়েছেন। তখন অবশ্য দিঘার নাম আলাদা ছিল।

এই দিঘাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে চিরকাল কৌতূহল রয়েছে।  দিঘার সুবিস্তৃত ঝাউ বন, উত্তাল ঢেউ, এখানকার স্থানীয় মানুষজন…সকল ভ্রমণ প্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বটে। কারোর ২ বার কারোর আবার ৮-৯ বার দিঘা ঘুরে আসা হয়ে গিয়েছে। তাও অনেকের আশ মেটে না যেন। দিঘায় থাকা অ্যাকোয়ারিয়াম, অমরাবতী পার্ক, তালসারি সমুদ্র সৈকত, দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র ও জাতীয় বিজ্ঞান শিবির, চন্দনেশ্বর মন্দির, শঙ্করপুর সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের কাছে আলাদাই আকর্ষণ। তবে আপনি কি জানেন যে ওয়ারেন হেস্টিংস এবং ব্রিটিশরা দিঘাকে পূর্বে এক মর্যাদাপূর্ণ নাম দিয়েছিলেন? সেই নামই বা কী?

digha sea daae

কয়েক দশক পূর্বে ওয়ারেন হেস্টিংস সেইসময়ের এই সমুদ্র সৈকতকে ‘প্রাচ্যের ব্রাইটন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। সেই সময়ে চাকলা মেদিনীপুর ৫৪ পরগনায় বিভক্ত ছিল এবং বীরকুল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল। ১৭৭২ সালে এক সমুদ্র সৈকতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে সস্ত্রীক হাজির হন ওয়ারেং হেস্টিংস। এখানকার আরামদায়ক পরিবেশ, সামুদ্রিক মাছ, হেস্টিংস দম্পতিকে রীতিমতো মুগ্ধ করে। ভাগীরথীর মোহনা থেকে সমুদ্রের তীর ধরে আরও ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এগিয়ে বীরকুল সৈকতে হেস্টিংস দম্পতি এক অস্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই বানান।

আরও পড়ুনঃ ম্যানগ্রোভ অরণ্য, লাল কাঁকড়ার সমাহার! কলকাতার কাছেই আছে নির্জন সি বিচ, ভুলে যাবেন দিঘা-পুরী

ওয়ারেন হেস্টিংস-এর স্ত্রী মিসেস হেস্টিংসকে লেখা তাঁর একটি চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘বীরকুল ছিল স্যানিটারিয়াম, প্রাচ্যের ব্রাইটন।‘ সেইসময় থেকেই একপ্রকার ওয়ারেন হেস্টিংস এই জায়গার প্রচার শুরু করে দেন। বর্তমানে এই ‘বীরকুল”ই দিঘা নামে পরিচিত।