প্রায় প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শহর , শহরতলির বুক চিড়ে ছুটে চলে লোকাল ট্রেন (Local Train)। মুম্বাইয়ের লাইফলাইন লোকাল ট্রেনকে বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গেরও লাইফলাইন এই লোকাল ট্রেনকে যদি বলা হয় তাহলে কিন্তু খুব একটা ভুল হবে না। রাজ্যের লাখ লাখ মানুষ প্রত্যেকদিন এই লোকাল ট্রেনে করে যে যার গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। পুরুষ, মহিলা সর্বশেষে সকলেই এই ট্রেনের মাধ্যমে যে যার গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে (East Indian Railway) ১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্ট হাওড়া এবং হুগলি স্টেশনের মধ্যে প্রথম ট্রেন চালায়। একই দিনে, বালি, শ্রীরামপুর এবং চন্দননগরে থামিয়ে ৩৮.৬ কিলোমিটার রুটে নিয়মিত পরিষেবা শুরু হয়েছিল। এছাড়া তারকেশ্বর রেলওয়ে কোম্পানি ১৮৮৫ সালের ১ জানুয়ারি শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর শাখা লাইনের ব্রডগেজ উদ্বোধন করে। ১৯৫২ সালের ১৪ এপ্রিল ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি এবং সমগ্র বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ে (পরে এসইআর গঠন করে) একীভূত হয়ে পূর্ব রেলওয়ে জোন গঠন করে। এটি চারটি বিভাগে বিভক্ত।
১৯৫৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাওড়া বিভাগের হাওড়া-ব্যান্ডেল সেকশনে ইএমইউ পরিষেবার উদ্বোধন করা হয়। ১৯৬৩ সালে, বর্ধমান পর্যন্ত পরিষেবাগুলি অবিচ্ছিন্নভাবে প্রসারিত হয়েছিল এবং পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ বিভাগে শিয়ালদহ – রানাঘাট রুটে চালু হয়েছিল। আপনিও নিশ্চয়ই লোকাল ট্রেনে চড়েন । তবে আদৌ জানেন কী পশ্চিমবঙ্গে কটি লোকাল ট্রেন চালায় রেল? এই সংখ্যা জানলে আপনি নির্ঘাত আকাশ থেকে পড়বেনই।
রেলের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় ৬৮০, হুগলীতে ৬১২, উত্তর ২৪ পরগণায় ৪৭৪, হাওড়া ডিভিশনে ৪৬০, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৩১৬, নদীয়ায় ২৬২ এবং পূর্ব বর্ধমানে ১৬২টি লোকাল ট্রেন চালায় রেল।