ভালো মন্দ খেতে কে না ভালোবাসেন। হ্যাঁ অবশ্য অনেকেই আছেন যারা একটু ফিটনেস ফ্রিক, সবকিছু একটু মেপে খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু আবার অনেকেই আছেন যাদের এক কথায় ফুডি বলা চলে। একটু ভাজাভুজি, লুচি, পুরির নাম শুনলে খাদ্যপ্রেমীদের জিভে জল চলে আসে একপ্রকার।
অনেকেই আছেন যারা উঠল বাই তো কটক যাইয়ের মতো, খিদে পেলে রান্নাঘরে গিয়ে একটু ভালোমন্দ রান্না করে খান। আর রান্নার জন্য জরুরি হল ভালো তেল। আবার তেলের মধ্যেও কিন্তু অনেক ধরনের ভাগ রয়েছে। অনেকেই আছেন যারা সর্ষের তেলে (Mustard Oil) রান্না (Cooking) করতে ভালোবাসেন আবার অনেকেই আছেন যারা সোয়াবিন অয়েল (Soybean oil), রিফাইন অয়েল (Refined oil), অলিভ অয়েলে রান্না করতে ভালোবাসেন।
কিন্তু আজ এই প্রতিবেদনে আলোচনা হবে রিফাইন তেল নিয়ে। সকলের রান্নাঘরেই কমবেশি এই তেলের দেখা মেলে। কারণ তেল ছাড়া রান্নাবান্না কিন্তু অসম্পূর্ণ। যে কোনও রান্নার ক্ষেত্রে মানুষ এই তেলকে পছন্দ করেন। আপনিও কি রান্নার জন্য এই তেলের ব্যবহার করে থাকেন? অতিরিক্ত ব্যবহার করেন? তাহলে এই প্রতিবেদিনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
আজই সাবধান হয়ে যান এই তেলের ব্যবহারের ওপর। সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল রিফাইন তেলে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে, যার মধ্যে বেশিরভাগ ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট অন্তর্ভুক্ত। এসব চর্বির মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণ আমাদের শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। যারা এই তেল অতিরিক্ত ব্যবহার করেন তাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং মোটা হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। এই তেলটি উচ্চ তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা হয়, যা ইউরিক অ্যাসিডও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা পরে গিয়ে আপনার জয়েন্টে ব্যাথা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রিফাইন তেলের পরিবর্তে আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নারকেল তেল, জলপাই তেল এবং তিলের তেল।