কথাতেই আছে, যে রাঁধে সে চুলোও বাঁধে। তাঁর কাঁধে সংসারের বড় দায়িত্ব রয়েছে, তাও নিজের কর্তব্যে অবিচল তিনি। আজ এই প্রতিবেদনে এক সাহসী নারীর কথা হচ্ছে যার কথা শুনলে আপনারও গর্বে বুক ফুলে উঠবেন। ভাবতে বাধ্য হবেন, এও সম্ভব? বিগত কয়েক বছর ধরেই তিনি রেলের (Indian Railways) চাকরি করছেন। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে (South Eastern Railways)। তবে এবার যেন তার মুকুটে আরো বড় রকমের পালক জুড়লো। তিনি এবার যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো শুরু করলেন। আজ এই প্রতিবেদনে কথা হচ্ছে খড়্গপুরে (Kharagpur) বাসিন্দা দীপান্বিতা দাসের।
তিনি বিগত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ট্রেন চালিয়ে আয় আসছেন তবে এবার তার ঘটল প্রমোশন একাদশী দিন থেকেই তিনি প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চালালেন। তিনি মেদিনীপুর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়ে হাওড়ায় আসেন এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে দীপান্বিতা হলেন প্রথম সেই মহিলা লোকো পাইলট যিনি খড়গপুর ডিভিশনের মেদিনীপুর থেকে হাওড়া শহরতলী সেকশনে যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়ে এলেন। এদিকে যথারীতি মহিলা লোকো পাইলট দেখে সকলের চোখ কপালে উঠেছিল।
জানা যায়, তিনি বুধবার একাদশীর দিন সকাল ৬:২০ মিনিটের মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল ট্রেন চালান দ্বীপান্বিতা। দীপান্বিতার পথ চলা শুরু হয়েছিল আজ থেকে বহু বছর আগে। জানা যায় ২০০৩ সালে তিনি আর্য ডিভিশনের আনারে রেলের চাকরিতে যোগ দেন এরপর ২০০৬ সালে তার খড়গপুর ডিভিশনে বদলি হয় এরপর ২০১৪ সাল থেকে তিনি পণ্যবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট হিসাবে কাজ শুরু করেন।
একাদশীর দিন দীপান্বিতা সঙ্গে ছিলেন তপন কুমার সামন্ত। তিনি জানান নিয়ম অনুযায়ী পরপর ৫ দিন ওর সঙ্গে থাকতে হবে। অন্যদিকে দীপান্বিতা বলছেন, ‘বুধবার সকালে লোকাল ট্রেন নিয়ে হাওড়া গিয়েছিলাম আবার সেখান থেকে মেদিনীপুরে ফিরিয়ে এনেছি আরও একটি লোকাল ট্রেন।’ তিনি আরো জানান, ‘ পণ্যবাহী ট্রেনের সাধারণত সময় একটু বেশি লাগে কিন্তু যাত্রীবাহী ট্রেনের সেটা অনেকটাই কম। ট্রেন চালানোর আগে শারীরিক পরীক্ষার পরে ট্রেন চালানোর অনুমতি মেলে। আমরা এখানে সবাই সমান। এতদিন ধরে ট্রেন চালাচ্ছি ভয়ের কিছুই নেই।’
তবে ট্রেন চালালেও কি হবে ডিউটি পাশাপাশি সংসারে সকল দায়ভার তিনি নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন সকাল থেকে উঠে সকালের খাবার দুপুরে খাবার তৈরি করে এবং দুই ছেলে মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে তিনি কাজে যোগদান। জানা যায় তার স্বামীও রেলে চাকরি করেন।