দিঘা-মন্দারমণি অতীত, এবার খুলছে নতুন সমুদ্র সৈকত! পর্যটকদের জন্য থাকবে বিশেষ আকর্ষণ

কথাতেই আছে, উঠল বাই তো চলো কটক যাই। না না এই প্রতিবেদনে আপনাকে কটকের কথা বলা হবে না। বাঙালিরা যেমন একদিকে খাদ্যরসিক, ঠিক তেমনই ভ্রমণরসিকও বটে। বলতে গেলে তাঁদের পায়ের তলায় সর্ষে থাকে। একটু খানি ব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি মিললেই বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে সকলেই একটু আনন্দের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন।
সমুদ্র, হোক বা পাহাড় জঙ্গল, সর্বত্রই বাঙালিরা ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন। এদিকে সমুদ্রের কথা উঠলেই হয় দিঘা (Digha), নয়তো মন্দারমনি (Mandarmani) নয়তো পুরীর (Puri) সমুদ্রের কথা প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে।
কিন্তু আপনারও কি এই একঘেয়ে দিঘা-পুরী যেতে আর ইচ্ছা করছেন না? নতুন কোনো সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে? তাহলে অবশ্যই চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনটি। কারণ এই প্রতিবেদনে আপনি একদম নতুন সি বিচের সন্ধান পাবেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দিঘায় ঢেউ সাগর এবং ভোর সাগর নামের দুটি সি বিচের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পর্যটকদের মন টানতে আরো এক সমুদ্র সৈকত খুলে দেওয়া হবে শিঘ্রই বলে খবর। আপনারও নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে যে এই নতুন সমুদ্র সৈকতটির নাম কী? এটির নাম হল সূর্য সাগর । আর এই সমুদ্র সৈকতের নাম দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
এই নতুন সমুদ্র সৈকতের নাম শুনে নিশ্চয়ই আপনারও সূর্য সাগরে ছুটে যেতে ইচ্ছা করছে? কিন্তু এখনও এটি খোলা হয়নি। এই বিষয়ে দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ জানিয়েছে, এখনও পর্যটকদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। এখনো এই নতুন সমুদ্র সৈকত খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
দিঘা ছাড়াও মান্দারমণি, তাজপুর সৈকত শহরগুলিতে প্রতিদিন প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে।
পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা এবং অন্যান্য সৈকত শহরগুলি যেহেতু বাংলার পর্যটন আকর্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, তাই সম্প্রতি শেষ হওয়া সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় প্রশাসন এবং হোটেল মালিকদের সৈকত শহর পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানান।
সম্প্রতি দিঘাতেও জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই নতুন মন্দির উদ্বোধনের পর দিঘার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আরও বাড়বে। ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত নিয়ে দিঘা বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল। অনেক গুলি হোটেল এবং হোমস্টে তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও স্থাপন করা হবে যার ফলে এই অঞ্চলের সামগ্রিক আর্থিক উন্নয়ন হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় দিঘার উন্নয়ন করেছিলেন।