ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) ভারতের (India) লাইফ লাইন বলা হয়। প্রত্যেকদিন দেশের কোটি কোটি মানুষ যে কোনও স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ট্রেনকেই চোখ বুজে ভরসা করেন। এই ট্রেনে করে পড়ুয়া, অফিস যাত্রী, পর্যটকরা ভ্রমণ করেন। এদিকে যাত্রীদের আরও সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখে একের পর এক ট্রেন এনেই চলেছে ভারতীয় রেল। দেশে ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রিমিয়াম ট্রেন চলছে, যার মধ্যে অন্যতম হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এদিকে বুলেট ট্রেন চলারও কথা রয়েছে। এরই মাঝে এল আরও বড় খবর, যা শুনে আপনিও খুশি হয়ে যেতে পারেন।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে দেশে প্রথম মিনি বুলেট শুরু হলও। নতুন এই ট্রেন মিনি বুলেট ট্রেনই বটে। কারণ Rapid X ট্রেনটি অনেকটা বুলেট ট্রেনের মতোই দেখতে। এই র্যাপিড রেলের মাধ্যমে আপনি চোখের পলক ফেলতে না ফেলতে মিরটে পৌঁছে যেতে পারবেন। দিল্লি থেকে শুরু হবে এই ট্রেনের যাত্রা। জানা গিয়েছে, এই র্যাপিড এক্স ট্রেনটি মাত্র ১২ মিনিটে সাহিবাবাদ থেকে দুহাই অবধি পৌঁছে যাবে। সবকটি স্টেশনে মাত্র ৩০ সেকেন্ড অবধি দাঁড়াবে এই ট্রেন বলে খবর। এই ট্রেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট অন্তর চলবে। এই ট্রেনের কোচের সংখ্যা মাত্র ৬টি। এই ট্রেনে ৫টি স্ট্যান্ডার্ড এবং ১টি প্রিমিয়াম কোচ থাকবে।
দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট আরআরটিএস করিডোরে পরিচালিত Rapid X ট্রেনগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা, জরুরি দরজা এবং ট্রেন অপারেটরের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি বোতামের মতো নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। এই র্যাপিড এক্স ট্রেনটি ২১ অক্টোবর থেকে জনসাধারণের জন্য চলাচল শুরু করবে। আজ ২০ অক্টোবর এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রেনের ভাড়া কত হতে চলেছে তার তালিকাও এখন প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই ভাড়া দেখলে চমকে যাবেন আপনিও।
প্রথম পর্যায়ে সাহিবাবাদ এবং দুহাই ডিপোর মধ্যে ট্রেনটির চলাচল শুরু হবে। ট্রেনে দুই ধরনের কোচ থাকে। একটি স্ট্যান্ডার্ড এবং অন্যটি প্রিমিয়াম। বিশেষ বিষয় হল, যেসব শিশুর উচ্চতা ৯০ সেন্টিমিটারের কম, তারা Rapid X ট্রেনে বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবে। দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট আরআরটিসির অগ্রাধিকার বিভাগে পাঁচটি স্টেশন থাকবে – সাহিবাবাদ, গাজিয়াবাদ, গুলধর, দুহাই এবং দুহাই ডিপো। পরিষেবার বিভাগ এবং ভ্রমণকরা দূরত্বের উপর নির্ভর করে যাত্রীদের ভাড়া পরিবর্তিত হবে। যাত্রী এই ট্রেনে ২৫ কেজি অবধি জিনিস বহন করতে পারবেন।
স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসের ভাড়া ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা এবং প্রিমিয়াম শ্রেণির ভাড়া ৪০ থেকে ১০০ টাকা হবে। প্রিমিয়াম ক্লাসের কোচগুলোতে প্যাডেড রেকলাইনিং সিট, ল্যাপটপ চার্জিং পোর্ট, ম্যাগাজিন হোল্ডারসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এই ট্রেনে ডিজিটাল QR Code ভিত্তিক টিকিট, ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ড (এনসিএমসি), টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) এবং কাগজের কিউআর কোড-ভিত্তিক ভ্রমণ টিকিট সহ একাধিক টিকিটিং মোড থাকবে।