আবার পরের বছর! কেন পিছিয়ে গেল DA মামলার শুনানি? প্রকাশ্যে এল আসল কারণ

ফের বড় ধাক্কা খেলেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সরকারী কর্মীরা (Employee)। আবারও একবার পিছিয়ে গেল ডিএ (Dearness allowance) বা মহার্ঘ্য ভাতা মামলার শুনানি। এই নিয়ে ১০ বার পিছিয়ে গেল বাংলার ডিএ মামলার শুনানি। DA নিয়ে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য। এদিকে সাম্প্রতিক সময় কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য রাজ্য উৎসবের আগ্রহে সরকারি কর্মচারীদের একের পর এক গিফট দিয়েই চলেছে। আর এই গিফট হল ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা।

   

যদিও বাংলার সরকারি কর্মীদের কপালে এখনো অবধি সুখ ফিরছে না। যে কারণে তাদেরও সহ্যের সীমা একপ্রকার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মাসের পর মাস ধরে ঝড়, জল, ঠান্ডা, রোদ অপেক্ষা করে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েই চলেছেন কর্মীরা। এদিকে আজ ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court Of India) রায় দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে। যদিও সেখান থেকে খালি হাতেই ফিরতে হলো সরকারি কর্মীদের। কারণ সেখানেও আজ হলো না কোনওরকম শুনানি। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী নতুন করে ধাক্কা খেয়েছেন।

কেন এই মামলা বারবার পেছানো হচ্ছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আদালতের মধ্যেই তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে ছিলেন ২ হেভিওয়েট আইনজীবী। একদিকে ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি অন্যদিকে ছিলেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম।

supreme court sc

আজ অভিষেক মনু জানান, এর আগে আদালত জানিয়েছিল বিস্তারিত শুনানির জন্য অন্য কোনওদিন ঠিক করা হবে। তাই কোনও অন্যদিন এই ডিএ মামলার শুনানি হোক। এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের হয়ে লড়াই করা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম জানান, বারবার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সকলের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এই শুনানির জন্য কোনও নির্দিষ্ট একটা দিন শীঘ্রই ঠিক করা হোক। এদিকে দুপক্ষের কথা শুনে আজ সুপ্রিম কোর্ট এই ডিএ মামলার শুনানি সামনের বছর হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।