৩ শতাংশ DA ঘোষণা পর মুখ খুলল সরকারি কর্মীরা! বড়সড় হুঁশিয়ারিও দিলেন আন্দোলনকারীরা

কয়েকমাস আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে কয়েকটি রাজ্যের কাছে নোটিশ যায় অত্যন্ত বেশি ভোটমুখী তোষণমূলক রাজনীতি করার কারণে। আর সে রিপোর্টে বাংলার স্থান ছিল একদম শুরুর দিকে। রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, বাংলার কোষাগারের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী হলেও মেলা, খেলায় দেদার খরচ চলছে। আবার টাকা নেই বলে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (Dearness allowance) দিতে গড়িমসি করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনেক মিটিং মিছিলের পর অবশেষে রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মচারীদের জন্য তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করা হয়ে বাজেটে। আগামী মার্চ মাস থেকে সেই বেতন পাবেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু এই ঘোষণার পর মোটেই খুশি নন সরকারী কর্মচারীরা। তাদের বক্তব্য, ৩৯% DA বন্ধ করে রেখে মাত্র ৩% দিচ্ছে সরকার!

এই বিষয়ে কথা বলার জন্য এক সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধি পৌঁছান শহীদ মিনারে। সেখানে গত ৬ মাস ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। DA নিয়ে একজন, “রাজ্যকে অচল করে দেওয়া হবে। লাগাতার আন্দোলনের পথে যাব। সাধারণ মানুষ যে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তার দায় সরকারের। সরকার বাধ্য করছে শিক্ষক ও সরকারি কর্মীদের কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করতে। অবিলম্বে ৩৯ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করতে হবে।”

ঘটনাস্থলে উপস্থিতআরেক কর্মীর বক্তব্য, “আমাদের ৩৯ শতাংশ ডিএ সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। এটা দীর্ঘদিনের লড়াই। আমরা ভিক্ষার জন্য এখানে সংসার, বাড়িঘর ছেড়ে বসিনি।” একজন আবার স্পষ্টই বলেন, “আমরা ৩৯ শতাংশ বকেয়া চাই। আমরা পাটিগণিত বুঝিয়ে দেব ওঁকে, ৩ শতাংশ দিয়ে ৩৯ শতাংশকে ঢাকা যায় না। আমাদের দাবি যতক্ষণে না আদায় হচ্ছে, লড়াই চলবে।”

da

সরকারি কর্মীদের বক্তব্য এই টাকা তারা নেবেন না। তাদের বক্তব্য তারা এই দানের টাকা নেবেন না। এই ঘটনা নিয়ে সরব বিরোধীপক্ষ। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “নতুন করে ৩ শতাংশ ডিএ দিলে কী হবে, তাহলে পুরনোটার কী হবে? এটা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সরকারি কর্মীরা তো ভিক্ষা চাইছেন না। রাজ্য সরকার যেমন বলে, তারা কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা চাইছে না। তেমনি তো সরকারি কর্মীরাও চাইছেন না।”

এদিকে শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই আন্দোলনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাগিয়েছেন। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কেন্দ্র সরকারের দিকে দায় ঠেলে তিনি বলেন, “যাঁরা ডিএ নিয়ে আন্দোলন করে এই ভাষা বলছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছেন। তাঁরা জানেন কেন্দ্রীয় সরকারি বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রেখেছিলেন বলে এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে। অনেক কষ্টে রাজ্য সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রান্তিক মানুষ, গরিব মানুষদের সামাজিক সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করছে।”

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button