চালান কেটে জরিমানার টাকা আত্মসাৎ! কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবল যা করলেন… শুনে চমকে যাবেন

নড়ে চড়ে বসলো কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। গুরুতর অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। যার জেরে চমকে গিয়েছে সকলে। কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবল এর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। আর এহেন ঘটনাকে ঘিরে গোটা বাংলাজুড়ে তুমুল শোরগোল। দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে লালবাজার (Lalbazar)। দুজনের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।

গোটাটাই ছিল ট্রাফিক জরিমানার টাকা (Challan)। গত তিন বছর ধরে কলকাতা পুলিশের ওই দুই কনস্টেবল এর বিরুদ্ধে জরিমানার টাকা জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এরা দুজন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পোস্টিং ছিলেন বলে অভিযোগ।

এই দুজন কনস্টেবল এর কাছে জরিমানের টাকা জমা করতেন সার্জেন্টরা। যদিও তাঁরা সেই টাকা ট্রেজারিতে জমা না দিয়ে গোটা টাকাটাই নিজেদের পকেটে পুড়েছেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনা কথা প্রকাশে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় পুলিশ মহলে। ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এই দুই গুণধর কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে খবর। এই দুই কনস্টেবল এর নাম হলো শুভঙ্কর দেব এবং রাজীব রায়। লালবাজার সূত্রে খবর রাজীব রায় টালিগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন অন্যদিকে শুভঙ্কর দেব ট্রাফিক গার্ডের কর্মরত ছিলেন দুর্নীতি কথা প্রকাশ্যে আসতেই দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়। যদিও ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে তারা রেহাই পান না।

traffic challan
প্রতীকী ছবি

লালবাজার সূর্যের খবর ট্রেজারিতে জমা না দিয়ে দুজনে মিলে আত্মসাৎ করেন ২২ লক্ষ টাকা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের চোখ কপালে ওঠে। তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ চালকালীন জানান, জরিমানা টাকাগুলি ট্রেজারিতে জমা না দিয়ে দুজনে মিলে আত্মসাৎ করেন। গত তিন বছরে ২২ লক্ষ টাকা জমা না দিয়ে তারা গোটা টাকাটাই নিজেদের পকেটে ভরেছেন। শুধু তাই নয়, ওই দুই কনস্টেবল খাতায়-কলমে দেখিয়েছেন যে টাকা জমা পড়েছে। ভুয়ো নথি অবধি তৈরি করেন তাঁরা। এরপর প্রভাব খাটিয়ে রাজীব রায় থানায় পোস্টিং অবধি নেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না, বিভাগীয় তদন্তে উঠে আসে তাঁর কারচুপির কথা।