সীমান্তে উত্তেজনা বজায় রয়েছে দুই দেশের। মাঝে মধ্যেই দুই দেশের সেনার মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির তৈরি হয় বলে শোনা যায়। কিন্তু এসবের মাঝেই চিন (China) ভারতের (India) প্রশংসা করল, যা দেখে সকলেই একপ্রকার চমকে গিয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মহল। সকলের এখন একটাই প্রশ্ন, চিনের হঠাৎ হলটা কী? আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক যে হঠাৎ চিন ভারতের প্রশংসা কেন করল? এর পেছনে শি জিনপিং-এর অভিসন্ধিটাই বা কী? তাহলে অবশ্যই ঝটপট পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি। এটা তো অস্বীকার করা যায় না যে মহাকাশে কার আধিপত্য বেশি, রাশিয়া না আমেরিকার? তা নিয়ে তরজা তুঙ্গে থাকত। কিন্তু এখন সময়টা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এখন আমেরিকাকে টেক্কা দেওয়ার দৌড়ে রয়েছে চিন। শুধু চিন বললে ভুল হবে, এই দৌড়ে কিন্তু রয়েছে ভারতও।
একের পর এক মিশন পরিচালনের করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে ISRO। এদিকে পিছিয়ে নেই চিনও। সম্প্রতি চাইনিজ একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চিনের চাঁদ অনুসন্ধান কর্মসূচির প্রধান ডিজাইনার উ ওয়েইরেন আগামী ১৫ বছরের পরিকল্পনার রূপরেখা সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহ অনুসন্ধানে চিনের সক্ষমতা বিশ্বে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। উ চিনের ডিপ স্পেস এক্সপ্লোরেশন ল্যাবরেটরির প্রধান বিজ্ঞানী ও পরিচালক।
উ তাঁর ভাষণে ভারতের ইসরোর তরফে সংগঠিত হওয়া চন্দ্রযান মিশনের উল্লেখ করেন এবং এর সাফলের জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানান। শুধু তাই নয়, তিনি রাশিয়ার লুনা-২৫ মহাকাশযানের ব্যর্থতার জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর তিনি বলেন, মহাকাশে চিনের প্রবেশাধিকার বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্টেমিস প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন, যার লক্ষ্য মানুষকে আবার চাঁদে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, এর সঙ্গে ৩০টি দেশ জড়িত থাকলেও চিন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
উ বলেন, এখন চিন চ্যাং’ই-৬, -৭ এবং -৮ উৎক্ষেপণ করবে। আগামী ১৫ বছরে দেশের মহাকাশ উৎক্ষেপণের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। চাঁদের অন্ধকার দিক থেকে বিশ্বের প্রথম নমুনা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে ২০২৪ সালে চ্যাং’ই-৬ উৎক্ষেপণ করা হবে। ২০২৬ সালের চ্যাং’ই-৭ মিশনের লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা এবং এই স্থানে চাঁদের সম্পদ ও পরিবেশ সার্ভে করা। এ ছাড়া চ্যাং’ই-৮-এর মাধ্যমে চাঁদের সম্পদ ব্যবহারের মিশন চালাবে চিন।