বাড়ি বানানো এখন আরও সহজ! সরকারি হস্তক্ষেপে এত টাকা দাম কমল সিমেন্ট ও লোহার

ক্লাইমেট চেঞ্জ এর প্রভাব পড়েছে সারাবিশ্বেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার পরিস্থিতি, এমনকি মেট্রো শহরগুলোও সেই দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই পায়নি। চেন্নাই এবং ব্যাঙ্গালোরের মত শহরে বৃষ্টির জন্য জল জমে যাওয়ায় যে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে তার প্রভাব পড়েছে নির্মাণ কার্যে। আসলে হঠাৎ করেই নির্মাণ কাজ কমে যাওয়ায় চাহিদা কমে গিয়েছে সিমেন্ট, রডের মতো উপকরণের। আর তার প্রভাবে দামও কমেছে বেশ খানিকটা।
তবে এমনি এমনি দাম কমেনি, সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে দাম কমেছে। দেড় মাসের মধ্যে লোহার দাম প্রায় ৬,০০০ টাকা কমেছে। একই সময়ে প্রতি টন লোহার দাম এখন হয়েছে ৫০,০০০ টাকা। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেকটা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন দেশের জনগন।
কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার যার ফলে স্বস্তি মিলেছে : আসলে সরকার এখন ইস্পাতের রপ্তানি শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সেই কারণে দেশীয় বাজারে ইস্পাতের দাম একদমই পড়ে গিয়েছে। দাম কমার প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করেছে দেশের বিভিন্ন অংশে তুমুল বর্ষণ।
দাম কতটা সস্তা হয়েছে : এপ্রিলের শুরুতেই TMT বারগুলির দাম ছিল ৭৫,০০০ টাকা। এরপর গত ১৫ জুন কিছুটা দাম কমায় সেই দাম ৬৫ হাজার টাকায় নেমে আসে। যদিও এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ ৮২,০০০ টাকায় পৌঁছায়। তবে এখন সেই দাম ধরা ছোঁয়ার মধ্যে ৫০-৫৫ হাজার টাকায় এসে পৌঁছায়। একই সময়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড TMT বারের দাম ৮০-৮৫ হাজার টাকায় নেমে এসেছে ১ লক্ষ টাকা থেকে।
তবে সারা দেশে একই দাম নয় নির্মাণ সামগ্রীর। ভারতের বিভিন্ন মেট্রো শহরে দামের বিস্তর ফারাক রয়েছে। গত দেড় মাসে কানপুর এবং মুজাফফরনগরে TMT বারের দাম দ্রুতহারে কমেছে। দেড় মাসে এই দুই শহরে বারের দাম টন প্রতি ৫ হাজার ৮০০ টাকা কমেছে।
দেশের সবচেয়ে সস্তা TMT বার পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেই। দুর্গাপুর এবং কলকাতায় যে দামে পাওয়া যাচ্ছে তা নয়া রেকর্ড গড়েছে। কলকাতা আর দুর্গাপুরে TMT বারের দাম ৫০,০০০ টাকা প্রতি টন। অবশ্য শুধু TMT বার নয়, একই সাথে দাম কমেছে সিমেন্টেরও। যেখানে আগে ৪৩৫ টাকা প্রতি বস্তা দামে পাওয়া যেত, এখন সেটাই ৬০ টাকা কমে ৩৮০ তে নেমেছে।